মানব জনমে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা কখন হাজির হয়, কে তাহারে চিনতে পারে? কে এসে গো মদিনায় তরিক জানায় এ সংসারে? কী সেই তরিক, সেই বৈপ্লবিক সম্ভাবনা-- যা চিরহাজির? একদা লালন ফকির এই প্রশ্ন তুলেছিলেন কুষ্টিয়ায় বসে। অনেকটা একইরকম প্রশ্ন চিন্তায় অনুবাদ করার একটা দম না-ফেলা চেষ্টা থেকেই পারভেজ আলম ‘মদিনা’ নামক বইটি রচনা করেছেন। বইটির অধ্যায়গুলো মদিনা প্যারাডাইম নিয়ে এমন একটি সুসামঞ্জস্য আলোচনা হাজির করে যে এটিকে একটি স্বতন্ত্র সন্দর্ভ হিসেবে পাঠ করা যেতে পারে। জাতি-রাষ্ট্র ও জাতি-পরিচয়ের ব্যাপারে লেখক এমন অনেক প্রশ্ন জাগ্রত করেছেন, যার পূর্ণাঙ্গ রফা তিনি এই দুই মলাটের ভেতর নিবিষ্ট করতে পারেন নাই। সেই সব চোখা প্রশ্নকে পাঠক প্ররোচনা হিসেবে বিবেচনা করবেন।
মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়
প্রথমত আমি একজন মানুষ। তাই সবার মত আমারও একটি জন্মস্থান-জন্মকাল ছিল। তবে তা প্ৰকাশ-অপ্ৰকাশে গল্পের প্রাসঙ্গিকতায় কোনই গুরুত্ব তৈরি হয় না। ঠিক যেমনটা হবে না। আমার শিক্ষাগত কিংবা পেশাগত পরিচয়ে। অক্ষরজ্ঞান নেয়া ও কিছু কাগুজে সনদ সংগ্রহের প্রয়োজনে যেমন কোন প্রতিষ্ঠানে আমাকে পড়াশোনা তাগিদেও কোথাও নিযুক্ত আছি, এটাই মৌলিক সত্য। মানুষের পেশাগত কিংবা সামাজিক আইডেন্টিটি তত্ত্বে কখনোই আস্থা পাইনা। নিজেকে তাই "ফ্রি সোল’ বা ‘মুক্ত আত্মা’ পরিচয় দিতেই পরম স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য আমার। তবে গল্প নিয়ে যে কোন কট্টর সমালোচনাকে ক্লেদাক্ত প্ৰশংসার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যায়ন করি। সুতরাং সমালোচনার উদ্দেশ্যে চেনা-অচেনা যে কারো সঙ্গে আন্তর্জালিক যোগাযোগ হতে পারে। সার্বক্ষণিক শর্তেই।