মতিঝিলে গভীর রাতে একটি বাঘ ঢুকে পড়েছে, টহলরত পুলিশের একেবারে সামনে দিয়ে। যেনতেন বাঘ নয়, প্রকাণ্ড রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সেই বাঘটিকে কিছুতেই আর খুঁজে পাওয়া যায় না। চিড়িয়াখানা থেকেও কোনও বাঘ পালিয়ে যায় নি। সেটা এলো কোথা থেকে? গেল কোথায়? নানা মুনির নানা মতো। এমনকি কোনও বাঘই নয়, কি দেখতে কি দেখেছে, তেমন মন্তব্যও আসতে থাকে। সেই বাঘ খুঁজতে গিয়ে অতর্কিতে আইনশৃংখলা বাহিনীর একাধিক সদস্য হতাহত হয়ে যান। কিন্তু বাঘটিকে মারা সম্ভব হয় না। সেটা আবারও পালিয়ে যায়। ওদিকে ভোর হওয়ার আগেই মানুষ সব জেনে ফেলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় গুজব, আর ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
তড়িঘড়ি তৈরি করা হয় ‘বাঘ সঙ্কট নিরসন কমিটি।’ তারা যুক্তিসংগত কোনও ব্যাখ্যাই খুঁজে পাচ্ছেন না। মতিঝিলের চারদিকে বেস্টনী দেয়া হয়। ভারী অস্ত্র নিয়ে রীতিমতো সেনাবাহিনী নেমে পড়ে। বিদেশ থেকে পরামর্শ আসে। কিন্তু অতি ধূর্ত এবং ভয়ংকর বাঘটিকে ধরাও যায় না, মারাও যায় না। বাঘ সঙ্কট নিরসন কমিটির এক সময় মনে হয়, বাঘটার বিশেষ একটা উদ্দেশ্য আছে।
এরপরে ঘটনা যেভাবে এগুতে থাকে, তাতে সব কল্পনা হার মেনে যায়।