এ বইটা গল্পের নয় কিংবা দর্শনেরও নয়। সাংঘর্ষিক অনুভূতির সংকলন বলা যেতে পারে। নাগরিক জীবনে প্রতিনিয়ত অনেক কিছু দেখেও না দেখার ভান করার বোকামি চতুরতার অসহায় বহিঃপ্রকাশ। কেউ অনুভূতি লুকিয়ে রাখে, কেউ চুপচাপ ব্যক্তিগত ডায়েরিতে লিখে রাখে, কেউবা ইন্টারনেটে প্রকাশ করে সারা পৃথিবীকে জানিয়ে দিতে চায়। বইয়ের কোথাও কোনো ধারাবাহিকতা নেই, নেই কোনো পক্ষপাত। একবার ঘর্মাক্ত রিকশাচালকের মাথায় বয়ে চলা কষ্টের কথা বলা হয়েছে তো আরেকবার শিল্পাঞ্চলের জ্যামে। নিজের বিশাল পাজেরো গাড়িতে বিরক্তি নিয়ে বসে থাকা শিল্পপতির মাথায় কী চিন্তা চলছে তা বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে।
কখনো নারীর দৈনন্দিন সংগ্রামের কথা আবার কখানো। ক্রিকেটে জেতার আনন্দ আর ফুটবলে হেরে যাওয়া নিয়ে আক্ষেপ করা হয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে। একবার অনেক আশাবাদী আবার পরেরবার হতাশার কথা বলা হয়েছে। সাধারণ বাংলাদেশি মস্তিষ্কে নিউরন সেলের বিক্রিয়াগুলোকে কালো হরফে আঁকার চেষ্টায় এই বই।
সোলায়মান সুখন
১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মনবাড়িয়া হলেও বাবার সামরিক বাহিনীর চাকরি সুবাদে দেশের বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন স্কুলে আর কলেজে পড়ালেখা করেছেন। স্কুল জীবনে দেয়াল পত্রিকায় লিখে লেখালেখির শুরু করেন। কলেজে বাস্কেটবল আর বিতর্কের ভক্ত ছিলেন। বিতর্ক আর উপস্থিত বক্তৃতার স্ক্রিপ্ট লিখে দিতেন সহপাঠিদের। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়ে ২০০০ সালে নৌ কর্মকর্তা হিসেবে কমিশন লাভ করেন। যুদ্ধ জাহাজে টহল দেয়ার দিনগুলোতে নিয়মিত দিনপঞ্জিকা লিখতেন যা এখনো সযত্নে রেখে দিয়েছেন। ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। গত ১৪ বছর বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় এবং বিপণন নিয়ে কাজ করছেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি লেকচারার হিসেবে পড়িয়েছেন। ২০১০ সাল থেকে ক্ষুদ্র ব্লগ এবং ভিডিও ব্লগ শুরু করেন সামাজিক যোগেযোগে মাধ্যমে। তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষ ভিডিও ব্লগার । এ পর্যন্ত তার অনুপ্রেরণামূলক ভিডিওর সংখ্যা ৩০০'র বেশি যা ৫ কোটি বারের বেশি দেখা হয়েছে ইন্টারনেটে।তিনি দেশে এবং বিদেশে প্রায় ৩৫০ টি অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। সুইডেন ভিত্তিক পাট গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘জুটবর্গ এ তিনি গ্লোবাল সােশ্যাল মিডিয়া অ্যাম্বাসেডর।। তিনি বিবাহিত এবং এক কন্যা সন্তানের বাবা।