১৬২৮ খ্রিস্টাব্দ। 'শাহজাহান' নাম নিয়ে মুঘল সিংহাসনে বসেছেন সদ্যপ্রয়াত সম্রাট জাহাঙ্গীরের তৃতীয় পুত্র খুররম। পরম আরাধ্য মসনদ হস্তগত করার পরই হারালেন প্রিয়তম পত্নী মুমতাজ মহলকে। তারপর স্ত্রীর স্মরণে নির্মাণ করলেন তাজমহল-এমন এক সৌধ যার তুলনা পৃথিবীতে বিরল। শাহজাহান আর মুমতাজের অমর প্রেম এ উপন্যাসের মর্মমূলে, তবে এ শুধু প্রেমের গল্প নয়। সতেরো শতকের মধ্যভাগের ভারতবর্ষের বিশ্বস্ত এক ছবি। ঘৃণা, প্রেম আর উচ্চাকাঙ্ক্ষার অনুপম উপাখ্যান, যার সমাপ্তি ভ্রাতৃঘাতী গৃহযুদ্ধে। কেবল সিংহাসন প্রত্যাশী চার যুবরাজের মরণপণ সংগ্রামের গল্প নয় 'মসনদ'; যুদ্ধ, হিংসা আর রক্তপাতের বিষবাষ্পের মধ্যেও অন্তহীন আশা নিয়ে জেগে থাকা ভালোবাসা আর স্বপ্নেরও গল্প।
মোস্তাক শরীফ
জন্ম ১৯৭৪ সালে, ফেনী শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। বর্তমানে একই বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। পাঠ্যপুস্তক রচনার মাধ্যমে লেখালেখির শুরু; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচর্চার ইতিহাস এবং তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে দুটো বই লিখেছেন। প্রথম উপন্যাস সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে অ্যাডর্ন-এর নবীন ঔপন্যাসিকদের প্রথম উপন্যাস প্রকাশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রচিত। এরপর আরও দুটো উপন্যাস এবং একটি অনুবাদগ্রন্থ রচনা করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতায় জড়িত এক দশকেরও বেশি সময়। পিএইচডি করেছেন পল্লী উন্নয়নে তথ্যসেবার ভূমিকা নিয়ে। স্ত্রী পলি, পুত্র আরাফ ও কন্যা মাইসারাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাস।