ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ রাজধানী হিসেবে ঢাকা বা জাহাঙ্গীরনগরে আবির্ভাব ঘটে ১৬০৮ সালে মুঘল আমলে। এর প্রতিষ্ঠাতা সুবাদার ইসলাম খান। ঢাকা এক বৈচিত্র্যপূর্ণ নগরী-চারশত বছরের অধিক এ নগরী স্বীয় মর্যাদাসহ অস্তিত্ব বজায় রেখেছে। মোগল আমলের পূর্ণ থেকেই ঢাকায় মসজিদ নির্মা শুরু হয়, যেমন- নারিন্দার বিনত বিবির মসজিদ। মোগল সুবাদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৬০৮ থেকে ঢাকায় অসংখ্য মসজিদ নির্মিত হয়। যে কারণে কায়রো ও ইস্তাম্বুলের মতো ঢাকাকে মসজিদনগরী বলা হয়। এই যুগের সর্বাপেক্ষা উৎকর্ষতা লাভ করে শায়েস্তাখানী স্টাইলে নির্মিত মসজিদগুলো, যা সুবাদার শায়েস্তা খান নির্মাণ করেন, যেমন- মুহাম্মদপুরের সাত গম্বুজ মসজিদ, চকবাজারের শাহী মসজিদ। নামাজ পড়া অবশ্য পালনীয় ধর্মীয় কর্তব্য। তাই মসজিদ নির্মাণ সাবলীল গতিতে চলে ঢাকানগরীকে সমৃদ্ধ করেছে। ঢাকাকে বিভিন্নভাবে বর্ণনা করা হয়েছে ‘গোল্ডেন সিটি’, রোমান্টিক সিটি, কুইন অব দ্যা ইস্ট, এপিসেন্টার অব কমার্স। মসজিদনগরী ঢাকা’র রচনা ও প্রকাশনার মূল উদ্দেশ্য পাঠকবর্গকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নির্মিত মসজিদগুলোর সাথে পরিচিতি করে দেয়া। মাওলা বাদার্স থেকে প্রকাশিতব্য ‘ঢাক থেকে ঢাকা গ্রন্থে ঢাকার মোগল স্থাপত্যকলা সম্বন্ধে বিশদ জানা যাবে।
সূচিপত্র * ঢাকার নামকরণ * ঢাকার ইতিহাস * মসজিদসমূহের বর্ণনা * লালবাগ গ্রুপ * চক গ্রুপ * নয়াবাজার * নতুন ঢাকা * মুহাম্মদপুর * রমনা এলাকা * মীরপুর-পল্লবী * পুরাতন ঢাকা গ্রুপ * নতুন সংযোজন : বিংশ শতাব্দীর আধুনিক মসজিদসমূহ