ফ্ল্যাপে লিখা কথা ‘মরুবায় বনানীর গন্ধ’ উপন্যাসটির লেখিকা আকন্দ সামসুন নাহার একিট মাতৃহীন মেয়ের মরুময় বাতাসের মধ্যে জবীন কেমন করে বনানীর স্বপ্নে ভরে উঠেছিল তারই সংগ্রামী সত্য। এই উপন্যাসে নায়িকা চিন্তিয়ার গ্রাম্য জীবনের উন্মুক্ত মাঠ, জোয়ার-ভাটায় খেলা নদী, শাড়ীর আচলে মাছ ছেকে ধরা, মাটির নিচের মিষ্টি আলু খুঁজে বের করা, দলবেঁধে ধানের ছড়া টোকানে, ইঁদুরের গর্তে খুঁজেছে ধান। একটু বড় হলে বুঝেছে যাকে মা বলে জানে তিনি ওকে সামনে এগোতে দিতে চান না। তাই শক্তি খুঁজেছে নিজের মধ্যে।
মাঝে মাঝে , নিজেকে অসহায় ভাবলে নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় একই শ্রেণীর ছাত্র রাকেশ হাত বাড়ায় এবং সৎমার ষড়যন্ত্রে বিয়ে হয়ে যায়। জীবনের পর্ব পরিবর্তন শুরু হয়। শুরু হয় জীবন যুদ্ধ। যতই বড় পরিবেশে আসার সুযোগ তৈরি হচ্ছে ততই তার চোখ খুলে যাচ্ছে। সে অনুভব করছে পৃথিবীটা কারো একার নয়। সুন্দর পৃথিবী পড়তে হলে নিজের ঘর থেকে শুরু করতে হবে। এই নিয়েই কাহিনীর নাটকীয়তার ঘাত-প্রতিঘাতময় বিজলী চমকায়। চলে এগিয়ে...