ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ একজন মানুষ যখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে তখন তার আচার আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। আমরা বাইরে থেকে তারযে সব আচরণ দেখতে পাই , আমাদের কাছে সেসব আচরণের কোনো অর্থ হয় না।কিন্তু যে এমন আচরণ করছে সে কেন তা করছে? কি চলে তার মনের ভেতর- যার প্রতিক্রিয়ায় মানুষটার এই অস্বভাবী আচরণ? তার মনটা যদি খুঁড়ে দেখা যেত?
মন খুঁড়ে অস্বভাবী আচরণের পেছনে লুকিয়ে থাকা মনের অদেখা স্রোতকে আবিষ্কার করেছেন প্রখ্যাত মনোচিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানী ডা. জিল্লুর কামাল । মানসিক রোগীদের রোগ সেরে ওঠার ঠিক পর-পর তাদের ইন্টারভিউ নিয়ে তৈরি করা এ বইয়ের পাণ্ডুলিপি। লেখঅগুলোতে মানসিক রোগগ্রস্তদের মনের নানা ক্রিয়া -প্রতিক্রিয়া ভেসে উঠেছে।
আশা করি লেখাগুলো মানসিক রোগ সম্পর্কে পাঠকের জ্ঞান বৃদ্ধি করবে, মানসিক রোগীকে মানুষ হিসেবে বোঝার অন্তদৃষ্টি সৃষ্টি করবে।
ভূমিকা মন নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই । দৈহিক দিক দিয়ে মানুষ অন্য প্রাণীদের মতোই। শুধু মনই তাকে অন্য প্রানীর থেকে আলাদা করেছে। মানুষের মনের নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ,ঘাত-প্রতিঘাতের চিত্র আমরা পাই গল্প-উপন্যাসে। উপন্যাসের পাত্র-পাত্রীদের আবেগ-মনের ভেতর,কেন মানুষ তখন দৈহিক মানুষ হয়েও আর দশটা মানুষের মতো আচার আচরণ করে না? কি আবেদ-অনুভূতি চিন্তা মানুষকে তখন তাড়িত করে? স্বাভাবিক মানুষের থেকে ভিন্ন করে দেয়।
মনোবৈকল্যগ্রস্ত এসব মানুষের আবেগ অনুভূতির প্রতিবিম্ব আঁকা হয়েছে বইয়ের গল্পগুলোতে । গল্পগুলো গল্প নয় সত্যি কাহিনী। কাহিনীগুলো আপনার সামনে এক নতুন জগতকে উন্মোচিত করবে। কাহিনী সংগ্রহের কাজে যারা আমাকে সাহায্য করেছেন,- বিশেষ করে শায়লা পারভীনকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। টাইপার কাজে লাইলী ও মঈন সাহেব যে সহযোগিতা করেছেন তা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি। প্রথম সংস্কারণের বিপুল পাঠকপ্রিয়তার প্রতি লক্ষ্য রেখে বইটি দ্বিতীয় সংস্করণ করার চিন্তা করা হয়। দ্বিতীয় সংস্করণে কয়েকটি নতুন পরিচ্ছদ সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে বইটি আরো পূর্ণতা পেয়েছে। আশা করি এ সংস্করনটিও পাঠকদের কাছে আগের মতোই সমাদৃত হবে। বইটি প্রকাশের দায়িত্ব নেয়ার ন্যাশনাল পাবলিকেশন-এর স্বত্ত্বাধিকারী ইব্রাহিম খলিল ভাইকে ধন্যবাদ। ডা. জিল্লুর রহমান