জন্মস্থান : ১১ এপ্রিল, ১৯৫২, নারায়ণগঞ্জ, পাইকপাড়া। মা : জাহানারা হক বাবা : সিরাজুল হক। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ১. পা যে আমার অনড় পাথর (১৯৮৭) ২. ললাপামুদ্রা ও অন্যান্য কবিতা (১৯৯১) ৩. আমি ও আমার প্রতিবিম্ব (২০০০)। ৪. রাতের শিরায় আগুন (২০০১) ৫. মুজিবুল হক কবীরের কবিতা (২০০৩), ৬. জলের অদ্ভুত সংগীত (২০১০) ৭. অগ্নিগর্ভ দিন (২০১১) প্রবন্ধ : ১. ছন্দের ঘরবাড়ি (২০০১) ২. ছন্দের মায়ামৃগ ও অন্যান্য ভাবনা (২০১১) ৩. পর্ব থেকে পর্বান্তরে (২০১২) শিশুতােষ বই : ১. হাওয়াই পদ্য (২০০২) ২. আকাশের জানালা (২০০৬) ৩. সাধের ভেলায় (মূল ; মায়াকোভস্কি) অনুবাদ (২০১১) ৪. সােনালি কাক, অনুবাদ (২০১২)। যৌথ সম্পাদিত গ্রহ: ১. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস : ফিরে দেখা
খালেদ হোসাইন
খালেদ হােসাইন। জন্ম: ১৯৬৪। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। মা: সুফিয়া খাতুন। বাবা: গােলজার
হােসাইন।
ছেলেবেলায় বড়বােনের হাত ধরে বেড়াতে যেতেন। পরীদের বাড়ি। আকাশে পুঞ্জীভূত মেঘের সাদায় রবীন্দ্রনাথকে দেখে বিহ্বল হয়ে পড়তেন, কৈশােরেই। বুকে বেদনার বীজ বুনে দিয়েছিলেন জীবনানন্দ দাশ। মা কবিতা লিখতেন, আর স্বপ্ন দেখতেন। একটা স্বপ্ন ছিল, এই ছেলে কবি হবে। খালেদ হেসাইনের কবিতার জগতটি ক্রমাগত রহস্যময় হয়ে উঠছে। তিন দশক পরিব্যাপ্ত কাব্যসাধনার ফসল। ইলা মিত্র ও অন্যান্য কবিতা' (২০০০), ‘শিকারযাত্রার আয়ােজন' (২০০৫) ও জলছবির ক্যানভাস (২০০৬)। পাতাদের সংসার (২০০৭), এক দুপুরের। ঢেউ (২০০৮)। সংখ্যা খুব বেশি নয়, তবে বৈচিত্রভাস্বর। ব্যক্তিগত রােমান্টিকতা প্রসারিত হয়ে স্বদেশ-স্বকাল ছাপিয়ে সর্বজনীন ও সার্বভৌম হয়ে উঠছে। কবিতার অন্তর্গত শিরা-উপশিরার রক্তবদলই কেবল নয়, প্রাকরণিক নানা নিরীক্ষায়ও তিনি কবিতাকে স্বতন্ত্র করে তুলেছেন। খালেদ হােসাইনের কবিতাকে চেনা যায়। লেখকের ধাতটা আলাদা, কবিতার জাতটাও আলাদা। ভালােবেসে বিয়ে করেছেন আইরীন পারভীনকে, যিনি একটি কলেজে শিক্ষক। মেয়ের নাম রােদেলা। সুকৃতি, ছেলে অভীতি রৌদ্র। খালেদ হােসাইনের নেশা ভ্রমণ, স্বভাবে ঘরকুনে। পেশায় তিনি বাংলা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।