আধুনিক জীবন-যাপন প্রযুক্তির কল্যাণে অনেক সহজসাধ্য হলেও মানবিক চরিত্র উন্নয়নের ব্যাপারটি সে তুলনায় আগে বাড়তে পারেনি। ইসলামী মূল্যবোধ ছাড়া এটি অর্জনও সম্ভব নয়। বাস্তবিক অর্থে এখন যারা সমাজে ‘আইডল’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, তারা পাশ্চাত্যেরই সৃষ্টি—যা ইসলামী মূল্যবোধ ও বিশ্বাসকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত করেছে। মর্ডানিজমের যাতাকলে মুসলিম সমাজও এ ধ্বংসযজ্ঞের ইন্ধন যোগাচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায়—ইসলামের প্রথম যুগের সাহাবায়ে কেরামকে ‘আইডল’ হিসেবে গ্রহণ করা। এটি পুরুষ ও নারী—উভয়েরই জন্যই জরুরী। তবে নারীজাতির বর্তমান দুরবস্থা প্রত্যক্ষ করে আরববিশ্বের খ্যাতিমান লেখক শায়খ মাহমূদ আল-মিসরী সঙ্কলন করেছেন রাসূল সা.-এর নিকটতম ৩৩ জন নারী সাহাবীর অনবদ্য জীবনী। এ গ্রন্থটি তারই সাহাবিয়্যাত হাওলার রাসূল-এর অনূদিত রূপ মহীয়সী নারী সাহাবীদের আলোকিত জীবন। তথ্যসমৃদ্ধ ও সহজবোধ্য ভাষায় অনুবাদকৃত এ কিতাবটি এদেশের মুসলমানদের জন্য ইসলামের পথে আরও অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে এক অনবদ্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে, ইনশাআল্লাহ।