মহানবী (স.) সম্পর্কে আগ্রহের বিষয়টি ধর্মীয় বিশ্বাস ও আবেগের সাথে জড়িত। তিনি ছিলেন নবীকুল শিরোমণি। জন্মেছিলেন আরবদেশের ঐতিহ্যবাহী কুরাইশ বংশে। যে বংশধারার আদিপুরুষ ছিলেন হযরত ইসমা‘ঈল (আ.)। এই ইসমা‘ঈল (আ.) থেকে মহানবী (স.) পর্যন্ত বংশানুক্রমে তাঁর পূর্বপুরুষেরা ছিলেন সামাজিক মান-মর্যাদা, জ্ঞানে-গুণে উন্নত ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তৎকালে আইয়্যামে জাহিলিয়্যাতে তথা অন্ধকার যুগের প্রেক্ষাপটেও নবীজীর পূর্বপুরুষেরা ছিলেন স্বমহিমায় উজ্জ্বল। তাঁরা এমন সব কীর্তি ও গৌরবগাথা রেখে গেছেন, যা আরব ইতিহাসে এক সোনালী অধ্যায়ের স্বাক্ষর হয়ে আছে। প্রফেসর আবু বকর রফীক তাঁর এই গবেষণা গ্রন্থে আন্তরিকভাবে যতœ নিয়ে ও বিভিন্ন তথ্যাদির ভিত্তিতে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। ইতিহাস পাঠে উৎসাহী ছাড়াও যে কোনো অনুসন্ধিৎসু পাঠক এই গ্রন্থটি থেকে যথেষ্ট উপকৃত হবেন।
আবু বকর রফীক
একজন খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ, গবেষক ও লেখক। তিনি ১৯৬৭ সালে মাদরাসা-ই-আলিয়া ঢাকা থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করে কামিল (হাদীছ) পাস করেন। ১৯৭২-৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে বিএ অনার্স ও এমএ পাস করেন। পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়া থেকে। শিক্ষকতা শুরু করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রভাষক হিসেবে। অতঃপর গাজীপুরের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য পদে কর্মরত। প্রফেসর রফীক ইসলামী অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষাব্যবস্থা, মুসলিম বিশ্বসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে আরবী ও ইংরেজী ভাষায় বহু গবেষণামূলক প্রবন্ধ রচনা করেছেন। আরবী ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক তাঁর লেখা আদ্-দুরূসুল আরবিয়্যা বইটি বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পাঠ্য তালিকাভুক্ত।