বই পরিচিতি: দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘রস আলো’ ও ‘উন্মাদ’-এ লেখার সূত্রে আসিফ মেহ্দীর প্রথম বইটি রম্যগল্পের। ‘বেতাল রম্য’ নামের সেই বইয়েই আসিফ মেহ্দী লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। এরপর একে একে প্রকাশিত তাঁর প্রতিটি বই শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লাভ করেনি, উঠে এসেছে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়। ‘রস আলো রম্য’-এর লেখাগুলোতে একদিকে যেমন আছে হাস্যরস; অন্যদিকে তেমনি সামাজিক অসঙ্গতিগুলোও সূক্ষ্মভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বইটি শুধু অনাবিল আনন্দ দেবে, তা নয়; পাঠকমাত্রই জীবন ও দেশ নিয়ে আরেকবার গভীরভাবে ভাবার তাগিদও অনুভব করবেন।
লেখক পরিচিতি: সাহিত্যের প্রতি আসিফ মেহ্দীর ঝোঁক ছাত্রজীবন থেকেই। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস আলো’তে লেখার সুবাদে রম্যলেখক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন আগেই। সেই সূত্রে প্রথম বইটাও রম্যগল্পের। ‘বেতাল রম্য’ নামের সেই বইয়েই আসিফ মেহ্দী লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। এরপর একে একে প্রকাশিত তাঁর প্রতিটি বই শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লাভ করেনি, উঠে এসেছে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়। সম্প্রতি লিখছেন দেশসেরা কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’তে। ব্যঙ্গ আর হাসির সঙ্গে গভীর জীবনবোধের প্রতিফলন ঘটিয়েই আসিফ মেহ্দী এ সময়ের জনপ্রিয় লেখকদের কাতারে নিজের অবস্থানটা বেশ পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা এগারো। এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্ট্যান্ড করেছেন আসিফ মেহ্দী। বুয়েট-এ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় নিজ ক্যাডারে ১ম স্থান অধিকার করে বর্তমানে বাংলাদেশ বেতারের গবেষণা ও গ্রহণ কেন্দ্রে সহকারী বেতার প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সহধর্মিনী মৌবীণা জ্যাকলিন বারি পেশায় ডাক্তার। আসিফ মেহ্দীর বইগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন তাঁর ওয়েবসাইটে (www.asifmehdi.info)।
বইটির উৎসর্গপত্র: চাপে পড়লে কয়লাও ডায়মণ্ড হয়ে যায়! হীরার টুকরা হইনি জানি; কিন্তু আমার লেখার উন্নয়নে একজনের অবদান অনস্বীকার্য! তার নিরবচ্ছিন্ন অবহেলায় আমি পদ্য থেকে গদ্য লেখায় আসতে বাধ্য হয়েছি। রম্যলেখা নির্বাচনেও তিনি সদা-সতর্ক হওয়ায় লেখার মান বাড়াতে আমাকে গভীর মনোযোগী হতে হয়েছে! এভাবে তিনি অনেক লেখককেই তৈরি করছেন। দেশসেরা রম্য পত্রিকা ‘রস আলো’র বি.স. হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন দেখছেন জনপ্রিয় কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’। সিমু নাসের।
ভূমিকা (লেখকের কথা): আমি হেসেখেলে দিনযাপন করতে চাই; তাই লেখালেখি করি। আশেপাশের সবাইকে আনন্দের মধ্যে রাখতে চাই; তাই লিখি রম্য। মানুষের প্রাণখোলা হাসি আমার হৃদয়ে দোলা দেয়; দেয় প্রাণবন্তভাবে বেঁচে থাকার শক্তি। শুধু হাস্যরসেই থাকি, তা নয়। বিভিন্ন ভঙ্গিতে তুলে ধরা অসঙ্গতিতে নানা বক্তব্যও তুলে ধরতে চেষ্টা করি। এই বইয়ের অধিকাংশ লেখা দেশসেরা রম্য পত্রিকা ‘রস আলো’তে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে; তাই বইয়ের নাম দিয়েছি ‘রস আলো রম্য’। বইটি আপনাদের হৃদয়ে সামান্য আনন্দানুভূতি সঞ্চার করতে পারলেও আমার পরিশ্রম সার্থক হবে! আসিফ মেহ্দী