সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঘরের সব জিনিস আউলাঝাউলা। টিভি নাই। ওভেন নাই। আলমারির দরজা খোলা। কী ব্যাপার কী হলো? নিচে দারোয়ান ব্যাটা কী করেছে সারা রাত? দারোয়ানের কী দোষ বলুন! নিজের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিজে না করলে কার কী ঠ্যাকা। জানি, আপনি ঘরদোর ভালো করে তালা দিয়েই ঘুমান। আপনি ওপরের লোকটার মতো হাঁদারাম নন। আপনি বাইচান্সের লাইসেন্স নেন না। এজন্য আপনার দরকার ‘মহামারি মোকাবিলায় মুসলিম’ বইটা। করোনার মহামারী প্রায় বিদায় নিতে যাচ্ছে, ইন শা আল্লাহ। কিন্তু কাফিরদের কোনো বিশ্বাস নাই। এরা এইডসের মতো মরণঘাতী রোগ নিয়ে আসছে। প্রসেসড ফুড জাঙ্ক ফুড দিয়ে আমাদের শরীরকে ক্যানসারের আঁতুর ঘর বানিয়েছে। এত ভালো খেয়ে ভালো পরেও হার্টের রোগ। এক মোড়ল আরেক মোড়লকে ডোবানোর জন্য আবার কী ভাইরাস নিয়ে আসে কে জানে। নবি ﷺ এক হাদিসে বলেছেন, ভবিষ্যতে এমন এমন সব রোগ আসবে যা আগে কেউ জানত না। যে-ফ্যাসাদের সময় আছি, অসুখ-বিসুখ যেটাই আসার আসুক। আপনি প্রস্তুত থাকুন। মরলে শহিদ, বাঁচলে গাজি। মহামারি তো শুধু অসুখ-বিসুখ না। আরও কত বিপদ নিয়ে আসে। আর সাধারণভাবে বিপদ-আপদ মরণঘাতী রোগ থেকে বাঁচার ১০-১২টা দুআও পাচ্ছেন মুফতে। এতসব ঢালতলোয়ার থাকতে বিপদ-আপদে আপনার কীসের ভয়? ভয় দূর করুন। প্রস্তুত থাকুন। অর্ডার করুন ‘মহামারি মোকাবিলায় মুসলিম’।
মাসুদ শরীফ
আমার প্রথম জন্ম হয়েছিল রাত ১টার দিকে। যেকারণে কেউ বলে আমার জন্ম সোমবারে। কেউ বলে মঙ্গলবারে। প্রথমবার জন্মেছিলাম মানুষ হয়ে। সে ১৯৮৭ সালের কথা। আমার দ্বিতীয় জন্ম ২০১১ সালের শেষের দিকে। এবারের জন্ম মুসলিম হয়ে। মুসলমানের ঘরে জন্মেও প্রথম দফায় মুসলিম হতে পারিনি। প্রগতির ঠিকাদারেরা নাক সিঁটকাবে আমি মানুষ নই বলে। আমি হাসব ওদের মতো ঊনমানুষ না হয়ে মুসলিম হয়েছি বলে। নিজের অনিচ্ছায় পড়াশোনা করেছি ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ইলেক্ট্রিক্যাল এঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। সেই পাট চুকিয়ে এখন পুরোদস্তুর পাঠক-লেখক-অনুবাদক। আমি আসলে অনুবাদ করি না। ভিনভাষার ভাবটাকে নিজের ভাষার ঢঙে রূপান্তর করি। সেটা ঠিক অনুবাদ হয় কিনা তা নিয়ে অনেকে আঙুল তুলতে পারেন। কিন্তু সাহিত্যের ভাষাকে আমি ভাব-বিনিময় বলেই মানি। স্ত্রী, দুই কন্যা, বাবা-মা, বোনদের নিয়ে দুনিয়ার মুসাফিরখানায় বেশ আছি। সব তারিফ আল্লাহর।