সুর ছাড়া আল্লাহর নূর নেই। সুরকে কি খালি চোখে দেখা বা ধরাছোঁয়া যায়? তেমনই সুগন্ধের মূল খুঁজলে সুগন্ধী পাওয়া যাবে কিন্তু ফুল ছাড়া সুগন্ধের মূল খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য। আসল রহস্যের ঘোমটা খুলে সত্যকে তুলে ধরা বড় কঠিন দায় এখন। কোরানুল করিমের সুরা এখলাসে আল্লাহর তিনরূপকে ‘আহাদ আল্লাহ’, ‘সামাদ আল্লাহ’ ও ‘লা শরিক আল্লাহ’Ñএই তিন বিশেষায়িত নামে প্রকাশ করা হয়েছে। আমার মহান মোর্শেদ কেবলা হযরত খাজাবাবা সদর উদ্দিন আহ্মদ চিশতী তাঁর কালজয়ী ‘অখ- কোরান দর্শন’ গ্রন্থে তা অকপটে প্রকাশ করেছেন। অথচ জগতের মুসলমান নামধারী সিংহভাগ অবোধ লোক নিরাকার আল্লাহর অদেখা অস্তিত্বে অন্ধবিশ্বাসী। কিন্তু আকার ও সাকাররূপে উপস্থিত আল্লাহকে জানতে, বুঝতে ও মানতে তারা নিতান্তই অবিশ্বাসী। আল্লাহকে আকার, সাকার ও নিরাকার-এই তিনরূপের সমষ্টিরূপে স্বীকার ও আনুগত্য করা সর্বকালে জ্ঞানীজনের সাধ্যে সহজ সাধনা হলেও সামান্য বা সাধারণ লোকের পক্ষে তা কঠিন ও অসাধ্য ব্যাপারই বটে। পাক পাঞ্জাতন তথা মহানবী মোহাম্মদ, মাওলা আলী, মা ফাতেমা, ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন আলাইহেস সালাতু আসসালাম সর্বদেহে বিদ্যমান আছেন যথাক্রমে বেল গায়েবে একিন, এলমুল একিন, আইনুল একিন, হক্কুল একিন ও হুয়াল একিনরূপে। পঞ্চতত্ত্বে তথা পঞ্চশক্তিরূপে মানবদেহে স্থিত আছেন লতিফাতন, ফানাতন, বাকাতন, নূরীতন ও কেসিফতন হয়ে। তাতে আছে পঞ্চপ্রেম যথা মেজাজী, সিদ্দিকী, কাসেফী, মাহবুবী ও হাকিকী। মনে রাখা দরকার, “আল্লাহর আল্লাহিয়াত যতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত মাওলা আলীর মাওলাইয়াত ততদূর পর্যন্ত প্রসারিত”।