শায়খুল আকবর ইবনে আরাবীর এই বইটি মূলত মহাজাগতিক মানবসত্তা, অনন্য আত্মা, আদি-পদার্থ এবং বৈশ্বিক দেহ নিয়ে একটি নিগূঢ় রূপক রচনা।
মানবসত্তার অনুষদ ও বিভাগসমূহ নিয়ে এ মহান আন্দালুসিয়ান ভাবুক ও চিন্তক জীবনের শুরুর দিক থেকেই সচেতন ছিলেন।
পদ্য ও গদ্য- উভয় ধারাতেই সাহিত্যমানের দিক থেকে উচ্চ-রুচিবোধ, দার্শনিক ও ধর্মতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গির গভীর প্রতিফলন, সৃষ্টিতত্ত্বের উপর স্বজ্ঞাভিত্তিক ঝলক এবং সেটাকে মানবীয় বৈজ্ঞানিক ভাষায় উপস্থাপন, কোরআনের নির্যাস থেকে স্বাদগ্রহণ ইত্যাদির উপস্থিতি এই বইয়ে বিদ্যমান।
অনুধ্যানের সমানুপাতে ব্যক্তি নিজেই যেন ইনসানে কামেল হবার বাসনায় আন্দোলিত হতে পারে, যেন খোদার বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি ধারণের মাধ্যমে জমিনে খলিফা হয়ে উঠতে পারে- এ হল শায়খুল আকবর বা শিক্ষকদের শিক্ষক ইবনে আরাবির বইয়ের এর পাতায় ছড়িয়ে দেয়া প্রণোদনা।
মহাজগত তথা বাহ্যিক সৃষ্টি ও ক্ষুদ্রজগত তথা মানবসত্তার (Macro-Cosmos and Micro-Cosmos) মৌলিকত্ব (essence) আবিষ্কারের দিক থেকে এটি এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি।