ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ কষ্ট পাওয়া যুবক গুলো তাদের কষ্টগুলো উগড়ে দিতে চায়। প্রবাসী জীবনে হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর যখন এক চিলতে ছুটি মেলে , ঠিক তখনই যুবকগুলো তাদের কষ্টের বাঁধন খুলে দেয়। খানিকটা তামাল কিংবা অমাতাল থেকে তারা অনর্গল বলে চলে তাদের চাপা কষ্টের কথা। মানোযোগী শ্রোতার মতো তাদের সেই কষ্টের কথা শুনে বাবুল। আভা কেমন করে জালালের জীবন থেকে আভার মতোই মিলে যায়, পরবর্তীতে কেমন করে সে জড়িয়ে পড়ে পরকীয়ায়? রাহেলা কি এখন অপেক্ষায় আছে জাহেদের? এদিকে বাবুলকে মন্টি কথা দিয়েছিলো -ঠিক ঠিক দুবছর সে অপেক্ষা করবে। কিন্তু দুবছর ফুরোতে খুব বেশি দিন বাকি নেই! এরপর কী হবে?
ভূমিকা উপন্যাস লেখার ইচ্ছা আমার কোনকালেই ছিলনা। এ কাজ আমার দ্বারা হওয়ার কথা নয়। দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া ম্যাগাজিন ক্রীড়ালোক -এ সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে লেখালেখি করতে হয়েছিল আমকে। যদিও সেগুলো ছিল ক্রীড়াবিষয়ক লেখালেখি। তাই ক্রীড়াবিষয়ক কিছূ একটা হলে বোধহয় বেশি মানানসই হতো। কিন্তু তা না হয়ে,হয়ে গেল উপন্যাস। তবে এ উপন্যাস লেখার পেছনে আমার নিজস্ব একটা যুক্তি আছে। সেই ছেলেবেলা থেকেই উপলব্ধি করছি, আমার ভেতরে বাস করছে আমারই মতো একজন। আমারই মতো চাপা দুঃখ, অভিমান নিয়ে সে বেড়ে উঠেছে আমারই সঙ্গে সঙ্গে। ম্যালা দিন তাকে আমি লালন -পালন করেছি।এখন আর পারছি না। আর সে জন্যই এ উপন্যাস লেখা।এর মধ্য দিয়ে আমি তাকে আজ মুক্ত করে দিলাম। এ উপন্যাসের প্রায় চরিত্র জীবন্ত, এমনকি প্রায় ঘটনাগুলোতেও। তাই জীবন্ত ঘটনাগুলো উপন্যাস আকারে প্রকাশের জন্য আমি তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এছাড়া আমার আর পথ ছিল কই? বন্ধু মুকুল , নাজিম ও বিটুর কাছে আমি খুব কৃতজ্ঞ, বইটি প্রকাশের জন্য তারা খুব খেটেছেন বলে। আর বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ আমার মেজো ভাই শওকত হোসেন মজুমদারের কাছে। তিনি আমার যেকোন কাজ প্রথমে ‘না’ বলেন, পরে তা করে দেন বিদ্যুৎ গতিতে।