ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ রাজুর বুকটা হঠাৎ খালি হয়ে গেল। কেন যেন চারিদিকে বিশাল এক শূন্যতা। মনে হচ্ছে জগতের নিয়মগুলো বড়ই অদ্ভুত। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে নিয়ে পুতুল খেলা খেলছেন।
প্রত্যেকটি মানুষের যন্ত্রণা যার যার নিরেজ মতো। কারো সঙ্গে কারোর মিল নেই। এই একটি সম্পত্তি মানুষের থাকে যা কারোর কাজ থেকে ধার নেবার প্রয়োজন হয় না।
রাজুর কাছে মনে হয় দেশ হচ্ছে তাদের কিশোরগঞ্জের সেই নিস্তরঙ্গা নিথর পুকুরটি যার তলদেশে চিরদিনের মতো হারিয়ে গেছ শিমু। একা এই নির্জন মজা পুকুরের পাড়ে রাজু কীভঅবে তার বাকি জীবন কাটবে?
ভূমিকা স্বপ্ন আছে একটি ট্রিলজি লেখার। এর প্রথম পর্বটির নাম ‘দাবা খেলা’। বড় ক্যানভাসে লেখার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সেটা পুরোপুরি সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আবার কারো কারো মতে ‘দাবা খেলা’ নামটি উপন্যাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমিও মনে করেছি পরবর্তী সংস্করণে প্রথম পর্বের নাম পরিবর্তনের কথা ভেবে দেখবো।
প্রথম পর্ব ১৯৪৭ এর দেশভাগের পর থেকে ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের আগ পর্যন্ত। একজন লেখক কী লিখবে? কীভাবে লিখবে সেক্ষেত্রে স্বাধীনতা থাকা উচিত।
উপন্যাসটি রচনার ক্ষেত্রে আমার চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না। তবুও শিল্পের দাবী পূরণ করা অতি সহজ কথা নয়। পাঠক তার রুচির বিচারে সেটা মূল্যায়ন করবেন।
তবুও এ চেষ্টাটুকু আশা করি পাঠকের দাবী পূরণ করবে। বই সমন্বয় সাধন করে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের। ধারণ করে কালের কণ্ঠ। ধারণা করে একজন লেখক চেষ্টা করতে পারেন। বই প্রকাশই লেখকের আনন্দ।
‘মধ্যগগন’ এর পটভূমি প্রকাশ একজন লেখক হিসেবে আমার আনন্দ। আরো আনন্দ প্রকাশক যখন বইটি বের করেন এবং পাঠকের হাতে তা পৌছে যায়।
এই কাহিনী রচনার সময় অন্যান্য বইয়ের সহযোগিতা নিতে হয়েছে। আমি এজন্য ঋণ স্বীকার করছি। সবাইকে শুভেচ্ছ।
জুলফিয়া ইসলাম ১ জানুয়ারী ২০১৩
জুলফিয়া ইসলাম
প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস, নারী ও কিশাের সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে তিনি লিখে চলেছেন সুস্থ জীবনের জন্য মনস্তত্ব, সমাজতত্ব, ইতিহাস, দর্শন ও জীবনধর্মী নানা বই। গ্রন্থ সংখ্যা ৪২টি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের একজন তালিকাভুক্ত গীতিকার এবং নিজেও সংগীত পরিবেশন করেন। বহুল আলােচিত পত্রিকাগুলােতেও নিয়মিত লেখালেখি করেন। তিনি বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য। এছাড়া অন্যান্য সাহিত্য সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য অনেকগুলাে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। যেমন মাওলানা ভাসানী সাহিত্য পুরস্কার, সালেহীন মােমােরিয়াল এ্যাওয়ার্ড, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স্মৃতি পুরস্কার, ম্যাপসাস এ্যাওয়ার্ড (মানবাধিকার পরিবেশ সাংবাদিক সােসাইটি অব বাংলাদেশ) হােসেন। শহীদ সােহরাওয়ার্দী স্বর্ণপদক, নবাব ফয়েজুনন্নেছা স্বর্ণপদক, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক (২০০৮)। পদক্ষেপ পুরস্কার ২০১৪। তার ‘পদ্মপাতায় জল’ উপন্যাসটির নাট্যরূপ ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে ২০১১। বাংলাদেশ, কলকাতা, আগরতলাসহ বিভিন্ন দেশে বহু পাঠক পাঠিকা তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত। একসময় শিক্ষকতায় জড়িত ছিলেন। ছিলেন সাপ্তাহিক ২০০০-এ। বর্তমানে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত আছেন। সখ বইপড়া, সঙ্গীতচর্চা ও দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ানাে। তিনি কলকাতা, দিল্লী, (আগ্রা, আজমীর, জয়পুর) সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া (ল্যাংকাওয়ে, গ্যানটিং হাইল্যান্ড, পুত্রজায়া, মাল্লাক্কা) থাইল্যান্ড, (ফুকেট, পাতায়া) দুবাই, সৌদিআরব, মালদ্বীপ প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেন। শিক্ষাজীবন : এসএসসি ঢাকা বাের্ড। এইচএসসি ঢাকা বাের্ড। স্নাতক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিএড উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ) স্নাতকোত্তর ঢাকা।