প্যারাট্রুপারের মতো আমার আঙুলে নেমে আসবে কিছু কিছু মধ্যবিত্ত লেখা। আর চুইংগামের আবছা একটা গন্ধ ছড়িয়ে যাবে ঘরময়। আমি ভালো করে তাকিয়ে দেখব, মেয়েদের চোখের মতো লেখাগুলোর তেজস্ক্রিয়তা, জঙ্গলের পথের মতো সিঁথি, শীতবিকালের চেয়েও ছোট হাত। কিছুটা আমারই মতো ক্যালাস ও কুঁড়ে হাবভাব। একটা মনখারাপি সকালের ভিতর থেকে বহু কষ্টে ওরা যেন ছিটকে এসে থামল বাইরের আলোয়। তারপর আমি কাগজের নৌকায় করে ওদের ভাসিয়ে দেব শহরময়। আর তার বহু বহু দিন পর দেখব যে, ধোঁয়াশার পলিথিনের ভেতর দিয়ে দেখতে পাওয়া শুধু দুয়েকটা জেদি তারার মতো মহাকালের আকাশে জ্বলছে ও নিভছে ওরা। সেদিন শুধু লেখাগুলো আর আমি দাঁড়িয়ে থাকব এমনই এক মেঘলা দিনে, গোলাপায়রার মতো অনেকটা নেমে আসা আকাশের নিচতলায়, মুখোমুখি, অনন্তকাল ধরে...
কন্ডাকটরের ডাকে সংবিৎ ফিরে পেলাম। অসময়ের বৃষ্টিতে অপ্রস্তুত ও হতোদ্যম শহরের মতো হয়তো দেখাল আমাকে। সিটিবাসে বাড়ি ফিরতে ফিরতে নিজেকে বললামঃ একটা মুহূর্ত হয়ে উঠছিল, ভেঙে গেল, এই যা।