“চেয়েছিলাম একদিন কেউ পাগলের মতো আমাকে ভালোবাসবে আমার চোখে তাকিয়ে শুধু নিজেকেই খুজবে কান্নার জল মুছে দিতে দিতে বলবে তোমাকে ভালোবাসি। চেয়েছিলাম একদিন কেউ বেহিসেবি ভাবে আমাকে ভালোবাসবে আমাকে ছুঁতে না পারার যন্ত্রণায় দিশেহারা হতে হতে আমাকে তার ভেতরে নিতে নিতে বলবে তোমাকে ভালোবাসি...”। মিতু অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে রাফির দিকে, ওর দুচোখে জল। এতো সুন্দর কথাগুলো! রাফি ভাই আপনি কি কিছু মনে করবেন আমি যদি একটু কাঁদি? আমার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে। বলেই অঝোর ধারায় কাঁদতে থাকে মিতু। ওর মনে হচ্ছে কেউ এসে ওর হাতটা ধরে বলুক, মিতু আমারও খুব বেশি প্রয়োজন তোমাকে কিন্তু বাস্তবে অনেক চাইলেও সেই প্রিয় মানুষ এসে হাত ধরেনা, হয়তো জানতেও পারেনা এই মধুর কথাটি শোনার জন্য একটা মেয়ে কতোটা অপেক্ষায় থাকে। ইফতি, রাফি আর মিতু, ভালোবাসার হিসেবহীন খেলায় যারা নেমেছে। তারা কেউ জানেনা তাদের গন্তব্য। ভালোবেসে কে কার হাত ছুঁয়ে যাবে আর আর কে কার হাত ছেড়ে দেবে সেটা তারা জানেনা। একজন শুধু মনে মনে বলে যাচ্ছে “মিতু তোমাকে ভালোবাসি” আর একজন দূর থেকে আজীবন বলে যাবে “মিতু তোমাকে ভালোবাসি” আর মিতু???মিতুর কানে কার সেই কথা পৌঁছাবে, মিতু কি সেটা জানে???
ফারজানা মিতু
বইমেলা ছাড়াও যারা সারা বছর লেখালেখি করে ফারজানা মিতু তাদের অন্যতম। ১১ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া এই মানুষটির যত আবেগ সবটুকুই এই লেখালেখি। পর পর চার বছরে ২৭টি বইয়ে তিনি তার জাত চিনিয়েছে পাঠককে। তার পরকীয়াসহ অন্যান্য বই যারা পড়েছেন তারা জানেন ফারজানা মিতুর লেখা সম্পর্কে। কবিতা দিয়ে শুরু হলেও এখন একাধারে লিখে চলেছেন উপন্যাস। দেশের প্রায় সব শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকায় লিখে চলেছেন গল্প, কবিতা কিংবা প্রবন্ধ। লেখালেখির পাশাপাশি সামাজিক সচেনতামূলক বেশ কিছু কর্মকাণ্ডে তিনি রাজপথের সৈনিক। ঘুরে বেড়িয়েছেন ৩৫টিরও বেশি দেশ। মানুষের সঙ্কীর্ণতা তাকে অবাক করে তাই নিজেকে সবসময় রাখতে চেয়েছেন সব সঙ্কীর্ণতার উর্ধে কারণ একজন লেখকের চোখ আর দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে স্বচ্ছ এটাই তার বিশ্বাস। মিতুর বইয়ের প্রধান উপকরণ যা পাঠককে টানে সেটা হচ্ছে— সহজ সাবলীল কথা। মিতু এমন ভাবেই কথা নিয়ে খেলেন, যা পড়ে পাঠক কখনও হাসবেন আবার কখনও কষ্টে নীল হবেন। মিতুর বই মানে কল্পনার অস্থির জগতে স্নান। আমন্ত্রণ থাকল সেই স্নান ঘরে আবারও কষ্টের নীলে নীল হবার।