চিরকাল মানুষ বেহিসেবি ভালোবাসে। কেউ জানেনা এই শুরুর শেষ কোথায়। প্রাপ্তি আর প্রাপ্য ভালোবাসার বেহিসেবি খেলায় মেতেছে, আর সবার মতো ওরাও জানেনা এর শেষ কোথায়। ওরাও বাস্তবতার সাথে পাল্লা দিয়ে জীবনযুদ্ধে নামে, একজন আরেকজনকে পাবার দুর্নিবার আকর্ষণে বাস্তবতার সামনে যেয়ে দাড়ায়।
ওরা ভুলে যায় জীবনের মানে শুধু একে অপরকে পাওয়া নয়, এই জীবনেও ঝড় আসে, তুফান আসে, আকাশ ভেঙে বৃষ্টি ঝরে আবার একই সাথে বেলিফুলও ফোটে। দেখা যাক সৃষ্টিকর্তার অমোঘ নিয়মে ওরা কাছে যেতে পারে কিনা, বেলিফুল সাজানো বাসরে ওদের দেখা হয় কিনা।
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
জন্ম : ২৫ নভেম্বর ১৯৩৩, বড়, চব্বিশ পরগনা। শৈশবে পিতৃহীন বহড়তে মাতামহের কাছে ও বাগবাজারে মাতুলালয়ে বড় হন। পড়াশােনা : বহড় হাইস্কুল, মহারাজা কাশিমবাজার স্কুল, প্রেসিডেন্সি কলেজ ; যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যে অধ্যয়ন অসমাপ্ত। বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায় ‘যম’ কবিতা লিখে (১৯৫৬) সাহিত্যজগতে প্রবেশ । যুক্ত ছিলেন কৃত্তিবাস পত্রিকার সঙ্গে। কবিতা সাপ্তাহিকী’ পত্রিকা প্রকাশ করে আলােড়ন তুলেছিলেন কবিতাজগতে। কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৫১ প্রণীত-অনূদিতসম্পাদিত কবিতা ও গদ্যগ্রন্থের সংখ্যা ১১১—তাছাড়া অজস্র অগ্রন্থিত রচনা ছড়িয়ে আছে পত্রপত্রিকায়। পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গঙ্গাধর মেহের পুরস্কার, মরণােত্তর রবীন্দ্র পুরস্কার। জীবিকাক্ষেত্রে সাংবাদিক হিসেবে যুক্ত ছিলেন আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে। অতিথি-অধ্যাপক হিসেবে বিশ্বভারতীতে সৃষ্টিশীল সাহিত্যের অধ্যাপনায় রত থাকাকালীন অকস্মাৎ হৃদরােগে শান্তি নিকেতনে মৃত্যু, ২৩ মার্চ ১৯৯৫।