আলী হাসান, জুনায়েদ, সামাদ-সহ প্রায় দশ জনের একটা টিম এসেছে এখানে আনাস রাহমানী হত্যার তদন্ত করতে। ওরা গোপনে আসতে পারত। কিন্তু ঠিক গোপনীয়তা রক্ষা করে তারা আসেনি। ঢাকঢোল পিটিয়েই এসেছে। অর্থাৎ এলাকাবাসী খুব ভালো করেই জানে যে, আনাস রাহমানী হত্যার তদন্ত করতে গোয়েন্দা এসেছে।
ব্যাপারটা খুবই হাস্যকর। এসকল কেইসের তদন্ত করতে হয় খুব গোপনে এবং সাবধানে। পান থেকে চুন খসলেই কেইস অলিগলিতে ঢুকে পড়ে। এর আর সুরাহা করা যায় না। অনেক সময় ঢাকঢোল পিটিয়ে তদন্ত করতে নামলে খুনি খুব সহজেই পালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু তারপরও আলী হাসান চেয়েছে এর তদন্ত প্রকাশ্যে করতে। তাই এই অঞ্চলে আসার আগে তারা একরকম প্রচার চালিয়ে এসেছে যে, আনাস রাহমানী হত্যার তদন্ত করতে ইনভেস্টিগেশন টিম এলাকায় আসছে। আলী হাসানই এরকম প্রচার করে আসার পক্ষে জোর দিয়েছে। কি হতে যাচ্ছে? ………
গোয়েন্দা কার্যক্রম, গা ছমছম করা সব কাহিনীতে ভরপুর এই থ্রিলার। পাঠক এক ভিন্ন স্বাদ পাবে আমরা আশা করছি।
আলী আব্দুল্লাহ
আলী আবদুল্লাহ জন্ম ঢাকার সেগুনবাগিচায়। ১৯৮৩ সনের, ১৯ শে জুন। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলেও ইসলামি হুকুম-আহকাম মেনে চলার ব্যাপারে ছিলেন উদাসীন। ২০০৪-০৫ সালের দিকে মহান আল্লাহ তার ওপর করুনা করেন এবং তিনি ইসলামের দিকে ফিরে আসেন বা আসার চেষ্টা শুরু করেন।
তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি’র ব্যবসায় অনুষদ থেকে স্নাতক, এবং চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। প্যারােডি লেখার মাধ্যমে লেখক হিসেবে তার যাত্রা শুরু । জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের বিখ্যাত উপন্যাস এবং হিমু’-এর প্যারােডি লিখেছেন ‘সুবােধ’ নামে। ইতােমধ্যেই সেটি সমর্পণ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশে ‘প্যারােডি’ নিয়ে সম্ভবত তিনিই প্রথম কাজ করেছেন। এখন তার স্বপ্ন একটাই অতীতের ন্যায় ইসলাম আবারও স্বমহিমায় পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হবে।। আল্লাহ তার সহায়ক হােন। আমীন।