‘আমিই সেই সুরমা যা তোমার চোখকে সাজায়। দাম হিসেবে কৃতজ্ঞতায় ভরা একটি দীর্ঘশ্বাস দিও, তা-ই যথেষ্ট’- লিখেছিলেন মির্জা আসাদুল্লাহ বেগ খান গালিব। উর্দু কবিতার রাজাধিরাজ। মির্জা গালিব ও তাঁর সময়কে নিয়ে এ উপন্যাস। যখন মোগল সাম্রাজ্যের শেষ দীর্ঘশ্বাস ভেসে বেড়াচ্ছে বাতাসে, ইংরেজরা ভারতবর্ষের ভাগ্যবিধাতা হিসেবে আসীন হওয়ার সব জোগাড়যন্ত্র শেষ করে এনেছে, পরিবর্তনের দমকা হাওয়া ওলটপালট করে দিতে চাইছে সব, তখন দিল্লির এক গলিতে বসে সময়ের বুকে নিজের পদচিহ্ন এঁকে দেওয়ার দুর্মর বাসনায় কবিতা লিখে চলেছেন মির্জা গালিব নামের এক নিঃসঙ্গ মানুষ। গালিবের যুদ্ধ দারিদ্র্য, ব্রিটিশ শোষক, সমাজপ্রভু এবং তাঁর কবিখ্যাতিকে নস্যাৎ করার চেষ্টায় মত্ত নিন্দুকদের বিরুদ্ধে। গালিবের উত্থান-পতনে ভরা ঘটনাবহুল জীবন বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে এ উপন্যাসে। কবি গালিব, প্রেমিক গালিব, প্রথাবিরোধী গালিব - সবাইকে একসুঁতোয় বেঁধে অন্বেষণ করা হয়েছে সত্যিকারের গালিবকে।
মোস্তাক শরীফ
জন্ম ১৯৭৪ সালে, ফেনী শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। বর্তমানে একই বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। পাঠ্যপুস্তক রচনার মাধ্যমে লেখালেখির শুরু; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচর্চার ইতিহাস এবং তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে দুটো বই লিখেছেন। প্রথম উপন্যাস সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে অ্যাডর্ন-এর নবীন ঔপন্যাসিকদের প্রথম উপন্যাস প্রকাশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রচিত। এরপর আরও দুটো উপন্যাস এবং একটি অনুবাদগ্রন্থ রচনা করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতায় জড়িত এক দশকেরও বেশি সময়। পিএইচডি করেছেন পল্লী উন্নয়নে তথ্যসেবার ভূমিকা নিয়ে। স্ত্রী পলি, পুত্র আরাফ ও কন্যা মাইসারাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাস।