আপনি কি কখনো ভেবেছেন কম্পিউটারের মতই আপনার ব্রেইনকে রিপ্রোগ্রামড করা সম্ভব? এমন কাজ আসলে একজন হ্যাকার করে থাকে। যদি বিষয়টি জেনে না থাকেন, তাহলে 'মাইন্ড হ্যাকিং' বইটি আপনার জন্য। তিনটি ভিন্ন স্টেপে নিজের মনকে পরিপূর্ণভাবে গুছিয়ে নেবার বৃত্তান্ত বর্ণনা করা হয়েছে বইটিতে। কম্পিউটারেরই বিভিন্ন টার্মের মত শব্দ ব্যবহার সকল বিষয় সম্পর্কে লেখা হয়েছে। এজন্য বইটি বেশ ইন্টারেস্টিং। বিশেষ করে, প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করা ব্যক্তিদের কাছে বইটি অনেক ভালো লাগবে। গতানুগতিক সেল্ফ হেল্প বইয়ের চেয়ে আলাদা স্বাদ দেবে 'মাইন্ড হ্যাকিং'। বইটিতে বর্ণিত একুশ দিনে মানসিক অবস্থা উন্নয়নের তিনটি কার্যকরী পদ্ধতি আপনাকে সাহায্য করবে মনকে সুশৃঙ্খল করে সাজানোর জন্য। মাইন্ড হ্যাকিং বইটির লেখক উদ্যোক্তা এবং কমেডিয়ান স্যার জন হারগ্রেভ। তিনি এই বইয়ে মানসিক অবস্থাকে উন্নতকরণের নানা উপায় বর্ণনা করেছেন। লেখক নিজেও একসময় দুশ্চিন্তা, হতাশা এবং জটিল মেন্টাপ সেটাপ নিয়ে ভুগছিলেন। সেখান থেকে তিনি নিজেকে মুক্ত করে আনেন। নিজেকে শুদ্ধতার পথে নিয়ে আসার পুরো অভিজ্ঞতাই তিনি তার বইয়ে বর্ণনা করেছেন। সেইসাথে তার নিজের উদ্ভাবিত বেশকিছু পদ্ধতি পাঠকের জন্য লিখেছেন তিনি। সবশেষে বলতে চাই, মাইন্ড হ্যাকিং বইটি সবার জন্যই সুপাঠ্য। মাইন্ড হ্যাকিং পড়ার মধ্যে দিয়ে নিজের মস্তিষ্ককে সুশৃঙ্খল করে সাজাতে পারেন আপনি। মানসিকতাকে ইতিবাচক রাখার বেশকিছু পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে নিজেকে করতে পারেন সমৃদ্ধ। তাই বইটি পড়ুন। নিজেকে সমৃদ্ধ করুন। আপনার জীবনের সকল ক্ষেত্রে নিজেকে জেতানোর লক্ষ্যে এগিয়ে যান আরও একধাপ।