‘কয়েক টুকরো মাংস কিনে আনলাম দোকান থেকে। বার্সে লোনায় ওটাকে তাঁরা বিফের মতো করে কাটে। কিন্তু ওগুলোকে কি নামে ডাকা হয় সেটা আমার জানা নেই। ‘যাই হোক, টেবিলে সাজিয়ে রাখা মাংসগুলোর ওপর প্রথমে লবণ দিলাম, তারপর আলাদা ট্রেতে রাখা ডিমের মধ্যে টুবালাম ওগুলো। কিছুক্ষণ পর রুটির প্রলেপ দেয়া হলো ওপরে। ‘ প্রথমিক কাজ শেষ, এবার ফ্রাই করার পালা। সোনালী-বাদামী রঙ না হওয়া পর্য ন্ত ওভানের ভেতর রাখলাম মাংসগুলো। কিছুক্ষণ পর ওভান থেকে বের করে ট্রে-র ওপর সাজিয়ে রাখলাম। ‘এবার কিছু পেঁয়াজ কেটে চালান করে দিলাম ওভানের ভেতর। কিছুক্ষণ সাদা হয়ে গেল পেঁয়াজ। ওভান থেকে বের করে টমেটো, পানি, লবণ আর এক চিমটি চিনি মেশালাম, তারপর আবার ভরলাম ওভানের ভেতর। বিশ মিনিট পর তৈরি হয়ে গেল সস। ‘মাংসের টুকরোর ওপর একটু একটু করে সস ঢাললাম, তারপর ফ্রিজ থেকে পনির বের করে ছড়িয়ে দিলাম ওগুলোর ওপর। পুরো জিনিসটা আবার ভরতে হলো ওভানের ভেতর। পনির না গলা পর্য ন্ত অক্ষো করলাম আমি। ‘আর মাত্র একটা কাজই বাকি আছে আমার। পাশের ডিশে রাখার জন্যে আলাদাভাবে আলু ভাজতে হবে কিছু। ব্য স! তাহলেই আমার মিলানিসা এ লা নেপোলিটানা পরিবেশন করার জন্যে তৈরি।’ একজন ভালো রাঁধুনি হওয়ার জেন্য যা যা দরকার, তার সবই আছে সিলিয়ার মধ্যে। এতক্ষণ তাঁর ছেলে, লিওনেল মেসির সবচেয়ে পছন্দের ডিস বানাবার সময় তাঁকে কি করতে হয় সে ব্যাপারে আমাকে জানাচ্ছিলেন তিনি।‘ বার্সেলোনাতে থাকার সময় হপ্তায় দুই কি তিনবার এই ডিশ বানাতাম আমি। সে সময় তিনটে মাঝারি আকারের বিফ দরকার হতো মেসির। খাবার সময় মেসির.....................