ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ মানব প্রজাতি সভ্যতায় পৌঁছানর আগে কোটি কোটি বছর পৃথিবীতে বসবাসকালে জীবনযাপনের অনিশ্চয়তা, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা ও অসহায়ত্বের হাত থেকে রেহাই পেতে যে-সব বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করত, বর্তমানে তার কোন অস্তিত্ব না থাকলেও, সেগুলিই ছিল তাদের ধর্ম ও ধর্মানুষ্ঠান। পুরাণ মূলত এসব ধর্ম প্রতিষ্ঠা ও ধর্মানুষ্ঠান প্রচলনের কাহিনী। প্রাচীন মিশরবাসীদের প্রত্যেক গোত্রেরই নিজস্ব ঈশ্বর ও ঈশ্বরবিশ্বাস ছিল, আর ধর্মানুষ্ঠান ছিল বিশ্বাসের উৎসস্থলে পৌঁচানর একমাত্র উপায়। ফলে ধর্মানুষ্ঠান গুরুত্ব পেত বেশি। তারা বিশ্বাস করত, এই ধর্মানুষ্ঠানের ভেতর দিয়ে মহাপৃথিবীর মূল রহস্য আবিষ্কার করা সম্ভব। মিশরীয় পুরাণ কাহিনীর অধিকাংশ অংশ জুড়ে রয়েছে সেকালের মানুষের পৃথিবী সম্পর্কিত ধারণা-ভূমি ও কৃষি ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধত্বি এবং বিভিন্ন ধর্ম ও ধর্মানুষ্ঠানের বিচিত্র বর্ণনা। মিশরীয় পুরাণকে প্রতিষ্ঠিত করেছে মূলত, বিভিন্ন রাজবংশ। সূচিপত্র *মিশরীয় পৌরাণিক ধর্ম ও ধর্মানুষ্ঠান *পৃথিবী সৃষ্টির বিভিন্ন মতবাদ *ঈশ্বর ও ঈশ্বরীগণ *মৃত্যুর পরের জীবন : ওসিরিয় ধর্মবিশ্বাসের বিস্তুতিলাভ