সৈয়দ শামসুল হক (২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫ - ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর শেষভাগের একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী সাহিত্যিক, যিনি কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, অনুবাদসহ সাহিত্যের সব শাখায় অবদান রেখে সব্যসাচী লেখক হিসেবে পরিচিতি পান। তাঁর লেখকজীবন প্রায় ৬২ বছর ব্যাপী বিস্তৃত ছিল। মাত্র ২৯ বছর বয়সে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন, যা তাঁকে এই পুরস্কারের সবচেয়ে কম বয়সী প্রাপক করে তোলে। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮৪ সালে একুশে পদক এবং ২০০০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার অর্জন করেন।
প্রবন্ধগ্রন্থ : করুণ মাল্যবান ও অন্যান্য প্রবন্ধ ২০১২, কবিতাজীবনী ২০১৪, কামু মার্কেস ইলিয়াস ও অন্যান্য ২০১৫ সাক্ষাৎকার সংকলন- আলাপন অষ্টমী ২০১৫ সম্পাদনা করেছেন শামসুর রাহমান, রশীদ করীমের নির্বাচিত সাক্ষাৎকার আবদুল মানান। সৈয়দের অপ্রকাশিত-অগ্রন্থিত রচনাসহ দশটি বই এবং ছােটকাগজ- ভুবনডাঙা, আর্কেডিয়া অর্জন করেছেন এইচএসবিসি-কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার ২০১২ এবং কলকাতার আদম লিটলম্যাগের তরুণ কবি সম্মাননা ২০১৫। আমন্ত্রিত হয়ে অংশ নিয়েছেন চীনে অনুষ্ঠিত চীন-দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া লেখক সম্মেলনে বাংলা একাডেমিতে কর্মরত।
হায়াত মামুদ
হায়াৎ মামুদের জন্ম ব্রিটিশ ভারতে, পশ্চিমবঙ্গের। হুগলি জেলার মৌড়া নামে অখ্যাত এক গ্রামে। ১৩৪৬ বঙ্গাব্দের ১৭ই আষাঢ় (২রা জুলাই ১৯৩৯) তারিখে। ১৯৫০ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অভিঘাতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত পিতার হাত ধরে চলে আসতে হয় ঢাকা শহরে । অদ্যাবধি সেখানেই বসবাস। স্কুল-কলেজবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাপ্ত করেছেন এ শহরেই। পিএইচ. ডি. ডিগ্রি তুলনামূলক সাহিত্যে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, প্রায় প্রৌঢ় বয়সে। রুশ ভাষা অল্পবিস্তর জানেন, অনুবাদের চাকরি করেছেন প্রগতি প্রকাশনে, মস্কোয় সুদূর ও স্বপ্নিল সােভিয়েত ইউনিয়নে বসে। দেশের অভ্যন্তরে চাকরি সর্বদাই শিক্ষকতার প্রথম কলেজে, পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে অবসর-জীবন যাপন করছেন। বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন। শিশুসাহিত্যে দেশ-বিদেশের সারস্বত সমাজের সঙ্গে যােগাযােগ আছে। সৃজনশীল রচনা, অনুবাদ, গবেষণা, শিশুসাহিত্য, জীবনীগ্রন্থ, সাহিত্য-সমালােচনা, ছাত্রপাঠ্য বই ইত্যাদি মিলিয়ে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ষাটের কাছাকাছি।