এক মুখহীন অবয়বমাত্র জনতাপিণ্ডের সঙ্গে পথ হাঁটছে এই সংকলনের গল্পগুলি। তাদের সঙ্গে বটতলার সালিশী সভায় বসে পড়ছে, কখনও বাসরাস্তার ধারে আচমকা গজিয়ে ওঠা চায়ের দোকানে লুঙ্গি গুটিয়ে বসে মিঠুনের ‘সিনামা’ দেখছে, দেখছে মানুষকে ঘিরে ধরে পিটিয়ে মারতে মানুষের সে কী উল্লাস, দেখছে মানুষ নিজের দুঃখ-কষ্টে বুক আউলে কাঁদতেও অন্য মানুষের ভরসায় বসে আছে, আবার সেই মানুষই মরতে মরতেও ভুল স্বধর্ম আঁকড়ে চেতনার ওপারে যেতে চাইছে। এসবের ধার ঘেঁষেই আলতো উঁকি মেরে মেরে যেতে চেয়েছেন লেখক। পকেটে হাতটা ভরে, আলগোছে পা ফেলে ফেলে। এদেরই কারোর পাশে বসে একটা বিড়ি, একটু আগুন এগিয়ে দিতে চেয়েছেন। এভাবেই একটা-আধটা গল্প। এভাবেই ভিড়ের ভেতর একজন আধজন মানুষের বুদবুদ, কথা।