ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ খুব বড় কিছু করতে পারিনি জীবনে। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ যখন অচেনা মানুষ আমার লেখা পড়ে তাদের ভালো লাগার কথা জানায়, তখন মু্গ্ধতায় ভরে যায় মন। সেই সাথে খুঁজে পেয়েছে নিজের লেখালেখি সত্তার সার্থকতা, উপলব্ধি করেছি, লেখালেখি বিষয়টা খুব একটা খারাপ না তো।
লেখকের কথা: খুব বড় কিছু করতে পারিনি জীবনে। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ যখন অচেনা মানুষ আমার লেখা পড়ে তাদের ভালো লাগার কথা জানায়, তখন মু্গ্ধতায় ভরে যায় মন। সেই সাথে খুঁজে পেয়েছে নিজের লেখালেখি সত্তার সার্থকতা, উপলব্ধি করেছি, লেখালেখি বিষয়টা খুব একটা খারাপ না তো।
কৈফিয়ত: বইয়ের ভেতরের লেখাগুলো কোনো ধারাতেই ফেলা গেলো না। লেখাগুলো- না গল্প না কবিতা। শুধু সময় ও বিষয়কে ধারণ করে, নিজের মতো করে লেখা হয়েছে। লেখাগুলো সাহিত্যের ধারে কাছ দিয়েও যায় নি। সুতরাং পাঠককে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
উৎসর্গ: সংসারের কাজ শেষ হত্তয়ার পর পত্রিকা নিয়ে বসেন তিনি। পত্রিকাটা খুঁজে না পেলে পেছনে এসে বলেন, 'পেপারটা কই? দে তো একটু পড়ি।' তারপর দৈনিক পত্রিকায় আমার লেখা খুঁজতে থাকেন। খুঁজে পেলে সে লেখাটা দিয়ে পত্রিকা পড়া শুরু করেন, এরপর একে একে ছাপা হত্তয়া প্রায় সব লেখাই পড়েন। একদিন বললেন-'বই বের করতে টাকা লাগে নাকি রে?' বলি, তা তো জানি না মা। আচ্ছা খোঁজ নিয়ে বলব। আর বলা হয়নি তাকে। কিছু লেখাকে একসাথে করে বইয়ের আকার দেয়া হলো। শুধু মাকে চমকে দেয়ার জন্য। যার প্রতি এই জীবনে সন্তান হিসেবে সব দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছি। প্রিয় মা, আমার মা। খুব কম মা-ই পারেন এতটা সয়ে হাসিমুখে জীবন যাপন করতে।