এ গল্পের মুখ্য কথক সাবের হলেও মেঘ ভেসে গেলে আসলে সাবেরের গল্প নয়। আরমানিটোলার শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী রোডের শতাব্দীপ্রাচীন বাড়ি ‘নাহার মঞ্জিল’-এ প্রায় যৌথ পরিবারের আবহে বসবাস তার। স্মৃতিময় শৈশব, কৈশোর আর তারুণ্যের গল্প বলে যায় সাবের। সে গল্পের সূত্রে আমাদের পরিচয় হয় বড় চাচা, মেজ চাচা, রুনু-ঝুনু, ডোরা আপা, কমল ভাই, রিন্টু ভাই, চন্দনা আপা বর্ণময় সব চরিত্রের সাথে। উজ্জ্বল রোদের পর মন খারাপ করা বৃষ্টির মতই নাহার মঞ্জিলে সুখের পর আসে দুঃখ, আনন্দের পর বিষাদ। আর জন্ম নিতে থাকে জীবনের মতই স্বপ্নময় এক গল্প, যে গল্পে নকশিকাঁথার ঠাসবুনোটের মতই জড়াজড়ি করে থাকে প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি, সুখ ও দুঃখ, জন্ম ও মৃত্যু।
মোস্তাক শরীফ
জন্ম ১৯৭৪ সালে, ফেনী শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। বর্তমানে একই বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। পাঠ্যপুস্তক রচনার মাধ্যমে লেখালেখির শুরু; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচর্চার ইতিহাস এবং তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে দুটো বই লিখেছেন। প্রথম উপন্যাস সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে অ্যাডর্ন-এর নবীন ঔপন্যাসিকদের প্রথম উপন্যাস প্রকাশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রচিত। এরপর আরও দুটো উপন্যাস এবং একটি অনুবাদগ্রন্থ রচনা করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতায় জড়িত এক দশকেরও বেশি সময়। পিএইচডি করেছেন পল্লী উন্নয়নে তথ্যসেবার ভূমিকা নিয়ে। স্ত্রী পলি, পুত্র আরাফ ও কন্যা মাইসারাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাস।