বিখ্যাত তুর্কি শাসক আমির তৈমুরের অধস্তন ষষ্ঠ পুরুষ জহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবুর। পিতার অকালমৃত্যুর পর মধ্য এশিয়ার ক্ষুদ্র রাজ্য ফারগানার সিংহাসনে বসলেন তিনি। কিন্তু সিংহাসনে আরোহণের প্রথম দিন থেকেই দুর্ভাগ্যের সঙ্গে যুঝতে হল তাঁকে। তারপরও পাহাড়সম প্রতিকূলতাকে জয় করে তেতাল্লিশ বছর বয়সে আসীন হলেন দিল্লির মসনদে। সেই শুরু ভারতে দীর্ঘ এবং বর্ণাঢ্য মুঘল শাসনের।
ময়ূর সিংহাসনের সম্রাটেরা মুঘল সাম্রাজ্যের প্রথম ছয় নৃপতি বাবুর, হুমায়ুন, আকবর, জাহাঙ্গীর, শাহজাহান ও আওরঙ্গজেবের কাহিনিÑভারতবর্ষের ইতিহাসের অসংখ্য ঘটনাবহুল অধ্যায় রচিত হয়েছিল তাঁদের হাতে। অজস্র প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে বিস্তীর্ণ এক অঞ্চলে তাঁরা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন মুঘল যশোগৌরব। অকল্পনীয় নৃশংসতা আর অতুলনীয় মহানুভবতার মিশেলে পদানত করেছিলেন একের পর এক শত্রুকে। তারই নির্মোহ বর্ণনা উঠে এসেছে এ বইতে।
দুঃসাহসী বাবুর, স্বপ্নবান হুমায়ুন, মহামতি আকবর, রোম্যান্টিক জাহাঙ্গীর, সৌন্দর্যবিলাসী শাহজাহান আর কঠিনহৃদয় আওরঙ্গজেব এবং ছয় কিংবদন্তী। গল্পের চেয়েও রোমাঞ্চকর তাঁদের জীবনকাহিনি।
মোস্তাক শরীফ
জন্ম ১৯৭৪ সালে, ফেনী শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। বর্তমানে একই বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। পাঠ্যপুস্তক রচনার মাধ্যমে লেখালেখির শুরু; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচর্চার ইতিহাস এবং তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে দুটো বই লিখেছেন। প্রথম উপন্যাস সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে অ্যাডর্ন-এর নবীন ঔপন্যাসিকদের প্রথম উপন্যাস প্রকাশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রচিত। এরপর আরও দুটো উপন্যাস এবং একটি অনুবাদগ্রন্থ রচনা করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতায় জড়িত এক দশকেরও বেশি সময়। পিএইচডি করেছেন পল্লী উন্নয়নে তথ্যসেবার ভূমিকা নিয়ে। স্ত্রী পলি, পুত্র আরাফ ও কন্যা মাইসারাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাস।