মাথিনের কূপ এক ঐতিহাসিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন-স্পট। এক অমর প্রেমের স্মারক। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ছাড়াও টেকনাফের এই পর্যটন-স্পটটি আজও মানুষের মন না কেড়ে পারে না। দেশ-বিদেশের যে-কোনো ভ্রমণার্থীদের একে ঘিরে কৌতূহল ও আগ্রহ যথেষ্ঠ। কূপটি ঘিরে আছে রাখাইন সম্প্রদায়ের মগ কন্যা মাথিন আর একসময়কার আলোচিত অভিনেতা ধীরাজ ভট্টাচার্যের এক অদ্ভুত প্রেম-কাহিনী। এ সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকলেও বরাবরই পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে অনেকেই অতৃপ্ত থাকছেন। তথ্যবহুল গ্রন্থটি কৌতূহলী ও আগ্রহীদের মধ্যে সেই প্রেম ও ধীরাজের নানা কাহিনী সম্পর্কে সেই তৃষ্ণা সামান্য হলেও মিটতে সক্ষম হবে মনে করা যায়।
জয়নাল হোসেন জয়নাল হোসেন (১১আগস্ট ১৯৫৩) কৃষিবিদ। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ময়মনসিংহ হতে ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে বিএসসি (অনার্স)। বিসিএস (কৃষি) ক্যাডার সদস্য জয়নাল হোসেন ১৯৯৯ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককস্থ মহিডোল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুষ্টি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিণ গ্রহণ করেন। কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের ‘পরিবেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ’-এর ডিভাইস করা ২০০০ খ্রিস্টাব্দের ‘লোগো’তে তাঁর প্রণীত শ্লোগান ‘সবুজ ও নির্মল ধরিত্রী সকলের জন্য’ মনোনীত হওয়ায় তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। কৃষি উন্নয়নে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে ‘ডিকেআই কৃষি পদক ২০০৮’-এ ভূষিত করা হয়। তিনি কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকায় উপ-পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে অবসরে লেখালেখিতে ব্যস্ত। ইতিহাস ও ঐতিহ্য সন্ধানে ঘুরে বেড়ানো, নতুন কিছু দেখা এবং লেখা তাঁর নেশা। তাঁর উল্লেখযোগ্য বই : রাজা ভাওয়াল সন্ন্যাস ও ভাওয়াল পরগনা, ঠাকুর শম্ভুচাঁদ জীবনিগ্রন্থ (২০০৩), শৈলসমুদ্র সান্নিধ্যে (২০০৩), ব্যতিক্রমী আট (২০১২)।
জয়নাল হোসেন
জয়নাল হোসেন একজন কৃষিবিদ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। কুমিল্লার মুরাদনগরের কুড়েরপাড় গ্রামে ১৯৫৩ সালের ১১ই আগস্ট তাঁর জন্ম। পিতা তালেব হোসেন, মাতা মাফেজা খাতুন। বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে এসএসসি, শ্রীকাইল কলেজ থেকে ১৯৭২ সালে এইচএসসি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে ১৯৭৭ সালে কৃষি অনুষদ থেকে ডিগ্রি নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। চাকরিকালে থাইল্যান্ডের মহিডোল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অভ নিউট্রিশন থেকে পুষ্টির ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভ করেন। তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ এর জীবন সদস্য এবং বাংলাদেশস্থ জাতিসংঘ সমিতির সদস্য। তাঁর রচিত বই: মুর্শিদাবাদ থেকে মধুপুর (২০০০), প্রমিত দৃষ্টিপাত (২০০১), সমুদ্রনন্দিনী কুতুবদিয়া: ইতিহাস ও বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত (২০০২), ঠাকুর শম্ভুচাঁদ (২০০৩), শৈলসমুদ্র সান্নিধ্যে (২০০৩), মেঘের মায়াবী চোখ (২০০৭), রাজা ভাওয়াল সন্ন্যাস ও ভাওয়াল পরগনা (২০০৯), পুণ্যের ঘরে শূন্য দিয়ে: ব্যতিক্রমী আট (২০১২), ধীরাজ ভট্টাচার্য ও তাঁর প্রেম উপাখ্যান: মাথিনের কূপ (২০১২), মানবপুত্র গৌতম: ধর্ম ও জীবনাচার (২০১৩), উইলে চার টাকা দুই আনা: সম্রাট আওরঙ্গজেবের ভিতর-বাহির (২০১৩), প্রাঙ্গণে মোর: টোকা ডায়েরির পাতা থেকে (২০১৪) ।