প্রবন্ধ গ্রন্থ মাতালগন্ধ। এ শিরোনামে কোনো প্রবন্ধ নেই এই গ্রন্থে। অনেকটা ককটেল পানিয়ের মতো ষোলোটি প্রবন্ধের বুকঝিম ‘নেশা’। সেই নেশা থেকে যে সৌরভ ছড়ায় তারই নাম মাতালগন্ধ। বিদেশি সাহিত্যের চুম্বকীয় অধ্যায় রয়েছে যুক্ত প্রবন্ধে। বাংলা সাহিত্যের মাদকীয় সৌরভ জেগে উঠেছে বেশিরভাগ প্রবন্ধে। বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যে মাতালগন্ধ একটি অনবদ্য সংযোজন। এ থেকে পাঠক এবং গবেষকরা নিজেদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করতে পারবেন।
মিলটন রহমান
মিলটন রহমান, কবি, গবেষক, কথাসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক। দেশে এবং লন্ডনে ভাগাভাগি বসবাস। ২০০৭ সালে উচ্চ শিক্ষায় ইংল্যান্ডে গিয়ে সাহিত্য চর্চায় যােগ করেছেন বৈশ্বিক চরিত্র। তবে তাঁর রচনায় স্বদেশ এবং তামাটে বর্ণের মানুষ কখনাে হারিয়ে যায়নি। চট্টগ্রামের সীতাকণ্ড থানার হাজিপাড়ায় (সাবেক হাজারী তালুক) জন্ম নেয়া প্রকৃতির এ সন্তান বেড়ে উঠেছেন চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে। শৈশবে চোখে সবুজ ধারণ করেই বেরিয়ে পড়েন নানান দিগন্তে। চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সাংবাদিকতা করেছেন। সেই সাথে মৌলিক রচনায় তাঁকে দেখা গেছে ধ্রুবতারার মতাে। লন্ডনে গিয়ে সাংবাদিকতায় আত্মনিয়ােগ করলেও পাঠকের কাছে সমাদৃত হয়ে থাকেন মৌলিক রচনার জন্যই । ফলে তাঁর সাংবাদিক পরিচয়টি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি মৌলিক মিলটন রহমানের কাছে। পিতা ডাক্তার একেএম ওয়াহীদি আর মা নূরজাহান বেগম। গ্রামের মাটিতে শৈশব কাটানাে এই লেখকের করণকৌশলে পাওয়া যায় বহুমাত্রিক প্রবাহ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-শ্লেড্রপ চুম্বনেরা। (কবিতা, ২০১৮), কবি শহীদ কাদরী ও অন্যান্য প্রবন্ধ (প্রবন্ধ, ২০১৭), নকশাপূরাণ (ছােটগল্প, ২০১৫), নিষঙ্গ (কবিতা, ২০১২) চূর্ণকাল (কবিতা, ২০১০), ব্রুটাস পর্ব এবং কর্তার শারীরিক অবনতি (ছােটগল্প, ২০০২)।