2019 সাল। ইংরেজি নতুন বছর। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই শুরু হল ইংরেজি নতুন বছর। নির্বাচনে ২৫৯ টি আসন পেয়ে জয় লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। ২৫৯ টি আসনে এবার চোখ মেলে কিছু নতুন মুখ। শেখ তন্ময়, নায়ক ফারুক, মাশরাফিসহ প্রমুখ।হিসাবের খাতায় উঁকি দিলেই দেখা যায় বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ মাশরাফি। কেউ বস কেউ ম্যাশ কেউ বা বাংলার বাঘ বলে ভূষিত করেছেন মাশরাফি ভাই কে। অনেকে আবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে মাশরাফির ছবি দিয়ে ভালবাসার প্রমাণ দিচ্ছেন ডে বাই ডে। টিভি পর্দা বলি আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলি মাশরাফি মাশরাফি। সব জায়গায় একি শুনি, মাশরাফি ভাই সত্যিই গুণি। আমরা মাশরাফিকে চিনি জানি কিন্তু কিভাবে? হয়ত টিভি পর্দায় নয়ত গ্যালারিতে বসে। এর বেশি না। কে এই মাশরাফি? ছোট বেলার আর বর্তমান মাশরাফি হয়ে ওঠার পিছনে জড়িত অনেক গল্প। এমন আলোচিত ব্যাক্তির গল্প পড়তে জানতে সবাই আগ্রহী। আর সেই সব পূর্ণাঙ্গ গল্প পড়ে নিতে পারেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় তরুণ লেখক রাকিব আল হাসানের "মাশরাফিনামা" গ্রন্থে।পাঠকদের মনে আলোড়ন সৃষ্টি তো করবেই সাথে ভেসে যাবে মনের আনন্দে। লেখক রাকিব আল হাসান"মাশরাফিনামা"য় জানান দিয়েছেন একজন যোদ্ধার নাম, একজন অনুপ্রেনার নাম। দিনের পর দিন কাজ করে পাঠকদের সামনে এক ভিন্নচিত্তে হাজির করেছেন "মাশরাফিনামা"।
রাকিব আল হাসান
পেশায় প্রেমিক, নেশায় মানুষ চেনা৷ রাকিব আল হাসান এর জন্ম ২০শে মার্চ, কোনো এক বসন্তের বিকেলে। বেড়ে উঠা নিজ শহর কুমিল্লার লাকসামে। এসএসসি পাশ করেছেন কুমিল্লার ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে, এইচএসসি পাশ করেছেন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি শেষে বর্তমানে পড়াশোনা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে, এমবিবিএস ফাইনাল বর্ষে। অনেক কাজেই নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। তবে লেখালেখি আর ভাবনার জায়গাতেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ খুঁজে পান। ইউথ লিডারশীপ নিয়ে কাজ করছেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। বহুমাত্রিক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন গ্লোবাল ইউথ লিডারশীপ এওয়ার্ড ২০১৯। চীনের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে চীনা স্বাধীনতার ৭০ বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত ৪র্থ আফ্রিকা এশিয়া ইউথ ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ডেলিগেট হিসেবে। এক্সসেস টু হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল, গ্লোবাল ইউথ পার্লামেন্ট, এশিয়ান ইউথ কাউন্সিলসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার 'ইউথ এম্বাসেডর' হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কাজের সুবাধে ঘুরে ফেলেছেন অনেক দেশ। একদিন ঘুরে ফেলতে চান পুরো পৃথিবী। সে পর্যন্ত মানুষ চেনা আর লেখালেখিই চলতে থাকুক।