মাও সবসময় তার নিজের অভিজ্ঞতা এবং অন্যদের সাথে এর প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে সচেতন। তিনি শুরু থেকেই 'সাংস্কৃতিক ফ্রন্ট'-কে সামরিক অভিযানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। সোভিয়েত সমালোচকদের দ্বারা মাওকে 'সমাজতান্ত্রিক বাস্তববাদ' থেকে 'বিপ্লবী রোমান্টিকতা পছন্দ করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়। হতে পারে এটা এই মতবাদের পার্থক্য প্রকাশ করে যে কেনো মাও কল্পনাপ্রসূত কবিতা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন অন্যথায় তা নিছক শ্লোগান হতে পারত। তাঁর ইয়েনান ফোরামে আলোচনা' এর একটিতে যেখানে তিনি ১৯৪২ সালে তাঁর নান্দনিক অনুশীলনের নীতিগুলো স্থাপন করেছিলেন। মাওয়ের কবিতা এক তীব্র রাজনৈতিক-সামরিক আত্মজীবনী এবং বিপ্লবের আগের ও পরের একেকটি দলিল। সাম্প্রতিক চীনা ইতিহাসে মাওয়ের ব্যবহৃত প্রকৃত ঘটনার সাথে প্রতিটি কবিতার প্রত্যক্ষ বা দূরবর্তী সংযোগ রয়েছে। আপাত বিষয় যা-ই হোক না কেন, শিরোনাম যা-ই হোক না কেন, যতোই গ্রামাঞ্চলের বর্ণনা দেওয়া হোক না কেন, সবসময় একটাই উদ্বেগ--সাম্যবাদী কারণ। মাওয়ের কোনো কবিতায় আক্ষেপের একটি শব্দ-ও নেই, নেই কোনো পারিবারিক আবেগ।