পেরিয়ে গেছে প্রায় এক মিলিয়ন বছর। প্রকৃতির সাথে অনাচার ও আত্মম্ভরিতায় মানবজাতি আজ বিলুপ্ত। কিন্তু পৃথিবী দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। শাসিত হচ্ছে রোবটদের হাতে। তবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে ঘুরে এসে পৃথিবী আবার ধীরে ধীরে ফিরে পাচ্ছে তার সবুজ-শ্যামল রূপ। অথচ এই পুননির্মিত পৃথিবীর ভাগ্যে ঘনিয়ে আসছে এক দারুণ বিপদ। সেই বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে রোবট নেতা জিমিনি নির্দেশ দিল কৃত্রিম ল্যাবে "মানুষ"-এর ভ্রূণ পরিস্ফুটনের। শতাব্দী পরে পৃথিবীর বুকে মানুষের পদচারণা ঘটে “মানুষ”-এর মাধ্যমে রোবট রিওনার মাতৃছায়ায়।
শেষ পর্যন্ত একদিন "মানুষ" এর পালা আসে পৃথিবী রক্ষার মিশনে বেরিয়ে পড়ার। এদিকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা সেই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে সৌরজগতের শেষ সীমানায়। কিন্তু হেলিওপজে এসে “মানুষ” সম্মুখীন হয় এক চাঞ্চল্যকর সত্যের। উন্মোচিত হয় পৃথিবীর হাজার বছরের পুরোনো ইতিহাস। পিনহুইল গ্যালাক্সির খোঁজে ড্রেসোথিয়া গ্রহে এসে "মানুষ" কোন সত্যের দেখা পায়?
থমকে যাওয়া এক সভ্যতার খোঁজে "মানুষ"।
মায়িশা ফারজানা
মায়িশা ফারজানা। আপনজনদের কাছে তিনি 'পুষ্প' নামে পরিচিত। জন্ম ও বেড়ে ওঠা - আমের শহর, চাঁপাইনবাবগঞ্জে। নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে হাই স্কুলের পাট চুকিয়ে ভর্তি হন খ্যাতনামা রাজশাহী কলেজে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অধ্যায়নরত। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে সামনে থেকে অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ ঘটেছিল তাঁর - দিয়েছেনও। বিতর্ক,আবৃত্তি,পাবলিক স্পিকিং, কুইজিং - সবকিছুতেই অংশ নিয়েছেন। অর্জন করেছেন বিভিন্ন সম্মানজনক পুরষ্কার। ২০১৮ সালে জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পুরষ্কার গ্রহণের। এছাড়াও ২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল এস্ট্রোনমি এন্ড এস্ট্রোফিজিক্স কম্পিটিশনে সাউথ এশিয়ান রিজিয়নে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই মেধাবী রুয়েটিয়ানের জীবনের লক্ষ্য "সুখী মানুষ হওয়া"।"