সময়ের অববাহিকায় আমাদের জীবন পরিভ্রমণ করে। এরই মাঝে গড়ে ওঠে যেমন অনেক প্রশ্ন তেমনি ভেঙেও যায় অনেক উত্তর। এসব প্রশ্ন-উত্তর খুঁজতে খুঁজতে অন্য একজন পরিব্রাজক হয়ে ওঠে। মূলত সময়ের সুঁতোয় গেঁথে থাকে সব, যা আমাদের বুঝতে অনেক বছর সময় লেগে যায়। ‘মানচিত্র’ এমন একটি কালের গল্প বলে। একটি উপন্যাস যা শুরু হয় ১৯৭২ সালে আর চলতে থাকে পরের পঁচিশ-ত্রিশ বছর সময় ধরে।
সব উপন্যাস যেমন নানা রঙের চরিত্র দিয়ে বুনতে হয় এই উপন্যাসও তেমনি বেশ কিছু চরিত্র নিয়ে গড়ে তোলা, তবে এর মেরুদন্ড দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক সময়কালের উপরে। রাজনৈতিক ঘটনাবলীর মাঝেই চলতে থাকে আয়েশা-আমিনের সংসার, এক শিক্ষকের তার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে তৈরি হওয়া প্রবাহ, রক্তের সম্পর্কহীন দুই ভাইয়ের পথচলা, অনিকেত-ঐন্দ্রিলার নতুন জীবন, কবি-হিমাদ্রির সংগ্রামী জীবন, এক পথিকের বিচরণ, ছাত্তার মিয়ার ঠায় আশ্রয় হয়ে ওঠা এবং পুরো উপন্যাস জুড়ে চলতে থাকা এক নাতির প্রতি দাদুর গপ্পো বয়ান।
সর্বোপরি, মানচিত্র যথাক্রমে জীবন সংগ্রাম, প্রেম-ভালবাসা, আবিষ্কার, আন্দোলন-বিদ্রোহ থেকে শুরু একাধিক মানুষের গল্প, যার মাঝ থেকে একজন মন্ত্রী হয়ে ওঠে আর একজন কবি। লেখক তাই মানচিত্রকে বলছেন- ঐতিহাসিক উপন্যাস; তবুও তো গল্প থেকে যায়।