মা : আনিসুল হক (হার্ডকভার)
#রিভিউ বই : মা লেখক : আনিসুল হক #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা সত্য ঘটনা অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস। আজাদ ছিল তার মায়ের একমাত্র সন্তান, ঢাকা শহরের অন্যতম ধনীর ছেলে হিসাবেই আজাদ ছেলেবেলার শুরুটা পার করেছে।মাঝে দেখা দিল বিপত্তি । তার বাবার দ্বিতীয় বিবাহের জের ধরেই তারা নামল পথে। অনেকটা খড়কুটোর মতো জীবনযাপন। আজাদের বাবা তার মাকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্যে কৌশলে আজাদকে করাচী পাঠিয়ে দিল উচ্চশিক্ষার জন্য।মা তাও অভিমান ভেঙ্গে পুরোনো প্রাসাদে ফেরেনি। শুরুতেই করাচীতে বাঙালিদের উপর পাকিস্তানিদের বৈষম্য অক্ষিগোচর হয় আজাদের। স্নাতক শেষ করে আজাদ ফিরে আসে দেশে।দেশ তখন উত্তাল , সবখানে মিছিল মিটিং এমনকি ঘর থেকে রাস্তায় পা দিলেই মিছিলের অংশ হয়ে যাওয়া যেত। বাঙালিদের উপর পাকিস্তানিদের শোষণ নিপীড়নই, রাজনীতি সম্পর্কে ঙ্গানহীন আজাদকেও যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলে। আজাদ তার বন্ধুদের সাথে যোগ দেয় ঢাকার আরবান গেরিলা দলে।সেখানে তারা কিছু রোমাঞ্চকর ও সফল অভিযান শুরু করে। সময়টা ৩০ আগস্ট ৭১, অনেক গুলো মুক্তিযুদ্ধা নিবাসে পাকিস্তানিরা আক্রমণ চালায় এতে আজাদ ও তার বন্ধুরা ধরা পড়ে।বাকি গেরিলাদের নাম জানতে তারা আজাদকে অকথ্য নির্যাতন করে। মা যখন তার বন্দী ছেলের সাথে দেখা করে "বাবারে ওরা যখন মারবে তুমি শক্ত থেক।সহ্য কোরো । কারও কথা যেন বলে দিওনা"। আজাদ মায়ের কাছে ভাত খেতে আবদার করে।সেই মুরগির মাংস, ভাত, আলু ভর্তা, বেগুন ভাজি বুঝি আর খাওয়া হয়নি ! যুদ্ধের ১৪ বছর পরেও এই মা আর মুখে ভাত তুলতে পারেনি। কাট করা দুটো লাইন *স্বাধীন দেশ জীবিত গেরিলাদের চাইনা!!! *দিনটা বিজয়ের, মা মগবাজারের চৌরাস্তায় এসে দেখেন পাড়ার ছেলেরা ব্যানার তুলেছে `শহীদ আজাদ, অমর হোক' মা বললেন এই সব কি তুলেছ আমার আজাদ বেঁচে আছে ও তো ফিরবে!'