বিশ্বসাহিত্যের একটি কালজয়ী উপন্যাস মা (১৯০৭)। এর রচয়িতা রুশ ঔপন্যাসিক ম্যাক্সিম গাের্কি (১৮৬৮-১৯৩৬)। অনেকের মতে মা উপন্যাসের মাধ্যমেই গত শতাব্দীর শুরুতে শিল্পসাহিত্যে সমাজতান্ত্রিক বাস্তববাদের সূত্রপাত ঘটে।
মা গাের্কির সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য উপন্যাস। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে নতুন ঘরানার উপন্যাস হিসেবে তা পাঠকদের সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়। শুধু রাশিয়ায় নয়, সমগ্র বিশ্বের উপন্যাস পাঠকের কাছে অনুবাদের মাধ্যমে উপন্যাসটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। অনেকে মনে করেন, রুশ সাহিত্যের সমৃদ্ধ পটভূমি, সমকালীন বিশ্বপরিস্থিতি, রুশ সমাজের নানা টানাপড়েন এবং সাহিত্যের চিরায়ত হয়ে উঠবার কিছু উপাদান মা উপন্যাসে আছে বলেই তা বিশ্বজুড়ে শীর্ষস্পর্শী পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।
ম্যাক্সিম গোর্কি
আলেক্সেই ম্যাক্সিমোভিচ পেশকভ বা মাক্সিম গোর্কি (মার্চ ২৮, ১৮৬৮ – জুন ১৮, ১৯৩৬) বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক। তিনি নিজেই তাঁর সাহিত্যক ছদ্মনাম হিসেবে বেছে নেন 'গোর্কি' অর্থাৎ 'তেতো' নামকে। তাঁর অনেক বিখ্যাত রচনার মধ্যে মা একটি কালজয়ী উপন্যাস।
প্রথম জীবন মাক্সিম গোর্কি নিঞ্জি নভগরদ এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ৯ বছর বয়সে পিতৃমাতৃহীন হন। ১৮৮০ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি তার দাদীমাকে খুঁজতে গৃহ ত্যাগ করেন। ১৮৮৭ সালে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান এবং দীর্ঘ ৫ বছর ধরে পায়ে হেঁটে সমগ্র রাশিয়া ভ্রমন করেন।
সাহিত্য রচনা ম্যাক্সিম গোর্কীর সর্বপ্রথম রচনা গণ 'মাকার চুদ্রা' ।