লাভ ম্যারেজ
(১) খাঁজ কাটা কুমিরের গল্প আমরা অনেকেই হয়তো শুনেছি। রচনার বিষয়বস্তু যাই হোক না কেন, ছাত্র শেষপর্যন্ত সেটা খাঁজ কাটা কুমির পর্যন্ত নিয়ে পৌঁছায়। ২০১৮ সালে আমাদের আড্ডা, আলোচনার হট টপিক হলো বিয়ে। রুমের মধ্যে হোক, বাইরে বন্ধুদের সাথে হোক কিংবা বাসায় এসে মা-বাবার সাথে হোক, কোনো একটা টপিক নিয়ে আলোচনা শুরু হলে শেষতক আলোচনা মোড় নেয় বিয়েতে। রুমের মধ্যে কেউ একজন হয়তো বলছে, "ধূর! পড়ালেখা ঠিকমতো হচ্ছেনা" এই পড়ালেখা ঠিকমতো না হবার কারণ খুঁজতে গিয়েও বিয়ের কথা উঠে আসে। আবার কেউ একজন হয়তো জিজ্ঞেস করলো, "এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলে কোন দল জিতবে? আর্জেন্টিনা নাকি ব্রাজিল?" এই প্রশ্নের উত্তরও ঠেকে বিয়েতে গিয়ে। এক বন্ধু মজা করে বললো আমাদের রুমের সামনে যাতে একটা সাইনবোর্ড লাগাই, 'এখানে বিয়ে নিয়ে মোটিভেশন দেওয়া হয়'! (২) একবার আরবের এক কবি শপিং মলে আরবের এক যুবতীর হাতের তালু আর কব্জি দেখে প্রেমে পড়ে যান, লাভ এট ফার্স্ট সাইট। তারপর প্রস্তাব, তারপর বিয়ে। এই কাহিনীটাকে লেখক পাশ্চাত্যের সাথে তুলনা করেছেন। আরবের নারীরা থাকে মানুষের অগোচরে। কবি একজন যুবতির স্রেফ হাতের তালু দেখে প্রেমে পড়ে যান। আর পাশ্চাত্যের নারীদের সমুদ্রতীরে, বাজারে-বন্দরে সবখানে দেখা যায়। ফলে তাদের পায়ের গোছা দেখেও মানুষ উত্তেজিত হয় না, হৃদয় দুলে ওঠে না। এতে তারা লজ্জাবোধও করেনা। রমণীর পায়ের গোছা, চেয়ারের পায়া, এবং ঘরের কাঠ সবই তাদের কাছে সমান হয়ে পড়েছে। (৩) ভালোবাসার ডেফিনিশন দিতে গিয়ে লেখক লিখেন, যখন দেহে যৌনক্ষুধা থাকে আর বিপরীতলিঙ্গ থাকে অনুপস্থিত, তখন তা নিয়ে তোমার কল্পনা খাবার নিয়ে ক্ষুধাতুর কল্পনারই মতো। এ জিনিসটাকে আমরা বলি ভালোবাসা। (৪) "শুধু পুরুষের সামনে নারী পর্দা করবে তা নয়; বরং নারীর সামনে পুরুষও পর্দা করবে।" এমনকি পুরুষের সামনে পুরুষ, নারীর সামনে নারীও পর্দা করবে। এই বিষয়টা নিয়ে বইটিতে লেখক বেশ কয়েকটা অনুচ্ছেদ লিখেছেন, তারমধ্যে একটা 'আমি ঠিক তো জগৎ ঠিক। 'চোখ যে মনের কথা বলে' নামক অনুচ্ছেদে লেখক দৃষ্টি হেফযত করা এবং এই সংশ্লিষ্ট বিধান নিয়ে বেশ খানিকটা আলোকপাত করেছেন। "যে ব্যক্তি কোনো অপরিচিত নারীর প্রতি যৌন লোলুপ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে, কেয়ামতের দিন তার চোখে উত্তপ্ত গলিত লৌহ ঢেলে দেয়া হবে।" (ফাতহুল কাদীর) (৫) 'বোরকাওয়ালির রূপ প্রদর্শন' শিরোনামের একটা অনুচ্ছেদে লেখক সমাজের কিছু রূঢ় বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। শালীন পোশাক পরিধানকারিণীদের প্রতি এক শ্রেণির ভুঁইফোড়ের এলার্জিক্যাল প্রবলেম প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এ যুগের বোরকাপরা মেয়েদের পেছনেও ইদানীং বখাটে ছেলেরা ঘুরঘুর করে। অনেক সময় দেখা যায় অনেক যুবতি বোরকা পরে বটে, কিন্ত তার চাকচিক্য এমন হয় যে, বোরকা পরেই সে অন্যকে বেশি আকৃষ্ট করে। বোরকাপরা কিছু শালীন পোশাকধারীদেরকেও দেখা যায় বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে অবলীলায় আড্ডা দিতে। আবার কাউকে দেখা যায় বোরকা পরেছেন তো তার মুখ খোলা। উপরন্তু মুখমণ্ডলে মেকাপ আর রঙ্গের ছড়াছড়ি। ঠোঁটে কড়া লিপস্টিকের দৃষ্টিকটু কারুকাজ। বোরকাওয়ালির এহেন রূপ প্রদর্শন ইসলামের জন্য দূর্ভাগ্যজনক। (৬) বিয়ের বিয়স কত? বিয়ের বয়স নিয়ে বিটলামি! পুরুষ এবং নারীর লেট ম্যারেজের ফলে যেসব সমস্যা হতে পারে সে দিকটাতেও লেখক আলোকপাত করেছেন বিভিন্ন মেডিকেল রিপোর্ট এর রেফারেন্সের সাহায্যে। বিয়ে প্রথার সহজায়নের দিকটার প্রতিও লেখক বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। বইটি অনুবাদ করতে গিয়ে বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত প্রবাদবাক্যগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি অনুচ্ছেদের শিরোনামগুলো ছিলো যথেষ্ট আকর্ষণীয়। ফলে একটা অনুবাদ বই যে পড়ছি সেটা বুঝা যায়নি।
বই রিভিউ: লাভ ম্যারেজ লেখক: ড. আলী তানতাবী খাঁজ কাটা কুমিরের গল্প আমরা অনেকেই হয়তো শুনেছি। রচনার বিষয়বস্তু যাই হোক না কেন, ছাত্র শেষপর্যন্ত সেটা খাঁজ কাটা কুমির পর্যন্ত নিয়ে পৌঁছায়। ২০১৮ সালে আমাদের আড্ডা, আলোচনার হট টপিক হলো বিয়ে। রুমের মধ্যে হোক, বাইরে বন্ধুদের সাথে হোক কিংবা বাসায় এসে মা-বাবার সাথে হোক, কোনো একটা টপিক নিয়ে আলোচনা শুরু হলে শেষতক আলোচনা মোড় নেয় বিয়েতে। রুমের মধ্যে কেউ একজন হয়তো বলছে, "ধূর! পড়ালেখা ঠিকমতো হচ্ছেনা" এই পড়ালেখা ঠিকমতো না হবার কারণ খুঁজতে গিয়েও বিয়ের কথা উঠে আসে। আবার কেউ একজন হয়তো জিজ্ঞেস করলো, "এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলে কোন দল জিতবে? আর্জেন্টিনা নাকি ব্রাজিল?" এই প্রশ্নের উত্তরও ঠেকে বিয়েতে গিয়ে। এক বন্ধু মজা করে বললো আমাদের রুমের সামনে যাতে একটা সাইনবোর্ড লাগাই, 'এখানে বিয়ে নিয়ে মোটিভেশন দেওয়া হয়'! (২) একবার আরবের এক কবি শপিং মলে আরবের এক যুবতীর হাতের তালু আর কব্জি দেখে প্রেমে পড়ে যান, লাভ এট ফার্স্ট সাইট। তারপর প্রস্তাব, তারপর বিয়ে। এই কাহিনীটাকে লেখক পাশ্চাত্যের সাথে তুলনা করেছেন। আরবের নারীরা থাকে মানুষের অগোচরে। কবি একজন যুবতির স্রেফ হাতের তালু দেখে প্রেমে পড়ে যান। আর পাশ্চাত্যের নারীদের সমুদ্রতীরে, বাজারে-বন্দরে সবখানে দেখা যায়। ফলে তাদের পায়ের গোছা দেখেও মানুষ উত্তেজিত হয় না, হৃদয় দুলে ওঠে না। এতে তারা লজ্জাবোধও করেনা। রমণীর পায়ের গোছা, চেয়ারের পায়া, এবং ঘরের কাঠ সবই তাদের কাছে সমান হয়ে পড়েছে। (৩) ভালোবাসার ডেফিনিশন দিতে গিয়ে লেখক লিখেন, যখন দেহে যৌনক্ষুধা থাকে আর বিপরীতলিঙ্গ থাকে অনুপস্থিত, তখন তা নিয়ে তোমার কল্পনা খাবার নিয়ে ক্ষুধাতুর কল্পনারই মতো। এ জিনিসটাকে আমরা বলি ভালোবাসা। (৪) "শুধু পুরুষের সামনে নারী পর্দা করবে তা নয়; বরং নারীর সামনে পুরুষও পর্দা করবে।" এমনকি পুরুষের সামনে পুরুষ, নারীর সামনে নারীও পর্দা করবে। এই বিষয়টা নিয়ে বইটিতে লেখক বেশ কয়েকটা অনুচ্ছেদ লিখেছেন, তারমধ্যে একটা 'আমি ঠিক তো জগৎ ঠিক। 'চোখ যে মনের কথা বলে' নামক অনুচ্ছেদে লেখক দৃষ্টি হেফযত করা এবং এই সংশ্লিষ্ট বিধান নিয়ে বেশ খানিকটা আলোকপাত করেছেন। "যে ব্যক্তি কোনো অপরিচিত নারীর প্রতি যৌন লোলুপ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে, কেয়ামতের দিন তার চোখে উত্তপ্ত গলিত লৌহ ঢেলে দেয়া হবে।" (ফাতহুল কাদীর) (৫) 'বোরকাওয়ালির রূপ প্রদর্শন' শিরোনামের একটা অনুচ্ছেদে লেখক সমাজের কিছু রূঢ় বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। শালীন পোশাক পরিধানকারিণীদের প্রতি এক শ্রেণির ভুঁইফোড়ের এলার্জিক্যাল প্রবলেম প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এ যুগের বোরকাপরা মেয়েদের পেছনেও ইদানীং বখাটে ছেলেরা ঘুরঘুর করে। অনেক সময় দেখা যায় অনেক যুবতি বোরকা পরে বটে, কিন্ত তার চাকচিক্য এমন হয় যে, বোরকা পরেই সে অন্যকে বেশি আকৃষ্ট করে। বোরকাপরা কিছু শালীন পোশাকধারীদেরকেও দেখা যায় বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে অবলীলায় আড্ডা দিতে। আবার কাউকে দেখা যায় বোরকা পরেছেন তো তার মুখ খোলা। উপরন্তু মুখমণ্ডলে মেকাপ আর রঙ্গের ছড়াছড়ি। ঠোঁটে কড়া লিপস্টিকের দৃষ্টিকটু কারুকাজ। বোরকাওয়ালির এহেন রূপ প্রদর্শন ইসলামের জন্য দূর্ভাগ্যজনক। (৬) বিয়ের বিয়স কত? বিয়ের বয়স নিয়ে বিটলামি! পুরুষ এবং নারীর লেট ম্যারেজের ফলে যেসব সমস্যা হতে পারে সে দিকটাতেও লেখক আলোকপাত করেছেন বিভিন্ন মেডিকেল রিপোর্ট এর রেফারেন্সের সাহায্যে। বিয়ে প্রথার সহজায়নের দিকটার প্রতিও লেখক বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। বইটি অনুবাদ করতে গিয়ে বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত প্রবাদবাক্যগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি অনুচ্ছেদের শিরোনামগুলো ছিলো যথেষ্ট আকর্ষণীয়। ফলে একটা অনুবাদ বই যে পড়ছি সেটা বুঝা যায়নি। বইটি প্রকাশ করেছে বইঘর। অনুবাদ করেছেন : মাওলানা এসএম আনওয়ারুল করীম। প্রচ্ছদমূল্য ২৪০ টাকা।
লাভ ম্যারেজ,,,,,, প্রেম কী? ভালোবাসার সংজ্ঞা কী? বিয়ে বহির্ভুত প্রেম কেন হারাম? লাভ ম্যারেজ কি উত্তম না এ্যারেঞ্জ ম্যারেজ? বিয়ের আগে ভালোবেসে চিনে নিলে লাভ কতটুকু, ক্ষতি কতটুকু? .যুবক-যুবতী মাত্রই সবচেয়ে বেশি এই প্রশ্নগুলো কাজ করে। প্রেম নিয়ে যুক্তি-তর্কের শেষ নেই। আসলে মানুষ মাত্রই প্রেমের কাঙ্গাল। জান্নাতের সব নেয়ামতের পরও তাই আদমের প্রয়োজন হয়েছিল হাওয়ার। আলাইহিমাস-সালাম। সৃষ্টিগতভাবে মানুষ প্রেমিক। একেকজন একেক জিনিসের প্রেমিক। ইসলামের আগমন ঘটেছে মানুষের সৃষ্টিগত গুণাবলিকে সফলতা ও সৌভাগ্যের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহারের পথ দেখানোর জন্য। কার প্রেম প্রেমিকের জন্য আশীর্বাদ আর কারটা অভিশাপ—এই পথ বাতলে দিয়েছে ইসলাম। প্রেম স্বর্গীয় উপাদান, ভালোবাসা আসে স্বর্গ থেকে,’ ‘ইউসুফ নবি প্রেম করেছেন আমরা করলে দোষ কী’ ইত্যাকার নানান মুখরোচক ছন্দে গন্ধে আধুনিক তরুণ তরুণীদের যৌবনে এখন ভরা বর্ষাকাল। তাদের টইটম্বুর তারুণ্য-নদীর তীব্র জোয়ারে ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ। এই ঢেউ আছড়ে পড়ছে বন্দরে-কন্দরে, গ্রামে-শহরে সর্বত্র। যৌবনের উত্তাল তরঙ্গে ভেসে যাচ্ছে সভ্যতার শক্ত পাটাতন। ধসে পড়ছে শ্লীলতা আর শিষ্টাচারের সুদৃঢ় প্রাসাদ প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে যাবতীয় প্রশ্ন, হালের এই লাগামহীন প্রেমকালচারের মহামারি থেকে মুক্তির উপায়, পবিত্র প্রেমের অপবিত্র ব্যবহার ও এর পরিণতি, প্রেমের নামে বেলেল্লাপনা ও এর ঘৃণ্য প্রতিফল, প্রচলিত প্রেম ভালোবাসার আসল রূপ, নবীজি ﷺ ও সাহাবীদের নিখাঁদ প্রেমের অনুপম কিছু দৃষ্টান্ত ইত্যাদি বহু মূল্যবান বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বক্ষ্যমাণ বইটিতে তাই একজন ছেলে মেয়ের সুসম্পর্কৈ পরিসম্পাতি পূর্বে নানা বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন এই বইটিতে,,,,,,
মন ভাঙ্গা আর মসজিদ ভাঙ্গা সমান' 'কারো মনে আঘাত দিলে সে আঘাত লাগে কাবার ঘরে' ' প্রেম স্বর্গয় উপআদান, ভালোবাসা আসে স্বর্গ থেকে,' ' ইউসুফ নবি প্রেম করেছেন, আমরা করলে দোষ কি' ইত্যাকার নানান মুখরোচক ছন্দে গন্ধে আধুনিক তরুন তরুনীদের যৌবনে এখন ভরা বর্ষাকাল । টইটম্বুর নদীর তীব্র জোয়ারে ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ । এই ঢেউ আছড়ে পরছে বন্দরে-কন্দরে , গ্রামে-শহরে সর্বত্র । যৌবনের উত্তাল তরঙ্গে ভেসে যাচ্ছে সভ্যতার শক্ত পাটাতন । ধসে পরছে শ্লিলতা শিষ্টাচারের সুদৃঢ় প্রাসাদ । তারুণে......। আঙ্গিনায় আজ ফনা তুলে আছে বিষাক্ত কাল সাপ । আবার সামাজিক ভাবে বিয়ে বহির্ভুত সম্পর্কে প্রচরনা । এই সব মনকে এতটাই মাতাল করে দেয় , ফলে ভাল থাকা শেয়ার করার নিয়তে প্রিয় মানুষ কে খুজতে যেয়ে কত মানুষ যে সতীত্ব হারাচ্ছেন , কতজনের মন বিধ্বস্ত হচ্ছে , তার কোন ইয়াত্তা নেই । প্রেমকে ঘিরে হাজারো প্রশ্নের পাশাপাশি প্রত্যেক প্রেমিকের মনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা আসল চেহারাগুলো যেন প্রকাশ করে দিয়েছেন ডাঃ আলী তানতাভী (রহ) লাভ ম্যারেজ বইতে বোনদের জন্য বেশ উপযোগী।