লবুলিরা হলো লড়াইবাজ পাখি। লড়াইবাজ পাখি হিসেবে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি আছে বুলবুলিদের।
ইরান- ইরাক- আফগানিস্তান- ভারত- বাংলাদেশে লড়াইয়ের জন্য বুলবুলিরা বিখ্যাত। শুধু মানুষ কর্ত ৃক লড়াইয়ের আয়োজনে নয়, বনেও বুলবুলিরা লড়াইয়ে মেতে ওঠে। নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে করতে এতই মশগুল হয়ে পড়ে যে, কখনও কখনও তারা শিকারির কবলে পড়ে যায়।
মানুষ আয়োজিত বুলবুলির লড়াইয়ের একটি নিয়ম হলো- হেরে যাওয়া বুলবুলির সুন্দর ঝুঁটিটি কাঁচি দিয়ে ছেটে দেওয়া। দীর্ঘকাল ধরে সবখানে এই প্রথা মানা হচ্ছে।
পাখিপ্রেমিক মানজুর মুহাম্মদ ‘লড়াকু বুলবুলি’ গল্পে এই প্রথার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠে প্রতিবাদ করেছেন। মানুষের রাজ্যে মানুষ যেমন মানবাধিকার নিয়ে উচ্চকণ্ঠ, তেমন পাখিরাজ্যেও পাখি-অধিকার নিয়ে পাখিরা উচ্চকণ্ঠ। পাখিদের ভাষা মানুষ বোঝে না বলেই মানুষ পাখি-অধিকার লঙ্ঘন করে।
লেখক মানজুর মুহাম্মদ এমনই বিশ্বাস করেন। তিনি আরও বিশ্বাস করেন- মানুষের মতো পাখিদেরও তাদের সমাজে আত্মমর্যাদা রয়েছে। তাই তিনি হেরে যাওয়া বুলবুলির ঝুঁটি কেটে দেয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। লেখকের এমন অবস্থানে বোঝা যায় লেখক পাখিকুল তথা প্রাণিকুলের প্রতি কতটুকুন সংবেদনশীল। এই গ্রন্থের স্বার্থকতা এখানেই।