রাত্রির কাছে বাঁধভাঙা কান্নায় ভেঙে পড়বে সে, সমস্ত বেদনা বুকে জড়ো করে আষাঢ়ের মুষলধারে বৃষ্টির মতো। সব কষ্টগুলোকে বৃষ্টির মতো ঝরিয়ে নেবে এ ধরায়।
ঘ্যানঘ্যার করে পিচঢালা রাস্তার পাপেজটা টানতে টানতে হেঁটে চলেছে বহ্নি।
স্থির, শূন্য দৃষ্টি চোখে। পৃথিবীর কোন কোলাহলই তাকে স্পর্শ করছে না। জীবনের অনেক বড় একটা সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সে।
শানারেই দেবী শানু
কবিতা প্রেমিক তার অথবা সে প্রেমিকা কবিতার। শানারেই। বাবা কবি এ.কে. শেরামের দেয়া নাম,খুব পছন্দের। শানারেই,মণিপুরী শব্দ-মানে গাঁদা ফুল। জন্ম ২২শে ফেব্রুয়ারি,সিলেটে।স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন।স্বপ্ন দেখতে দেখতেই শৈশবেই মণিপুরী নৃত্যে হাতেখড়ি,মা চন্দ্রা দেবীর হাত ধরে।স্বপ্নের ডানা মেলে বেড়ে ওঠা সিলেটের সবুজে সবুজে।পড়াশুনা সিলেট এম সি কলেজ থেকে ইংরেজী সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স।অভিনয়,মঞ্চ আর থিয়েটারের সাথে দীর্ঘদিনের পুরনো প্রেম।লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৫ এর খেতাব বিজয়ের পর মূলধারার মিডিয়া অঙ্গনে পথ চলা শুরু।একাধিক টিভি নাটক,চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ব্যস্ততার পাশাপাশি লেখালেখির নেশায় ডুব দিতে চান। কবিতার শব্দপ্রেমে ডুবে থাকা স্বপ্নবাজ শানুর কবিতা ছুঁয়ে থাকার চেষ্টায় নিরলস পথচলা।তারই প্রথম ধাপ প্রথম কাব্যগ্রন্থ নীল ফড়িং কাব্য প্রকাশ ,২০১৭ বইমেলা।লেখালেখির প্রথম স্বীকৃতি হিসেবে সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার ২০১৭ লাভ।তারপর আরো কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে পরবর্তী বইমেলায়।২০১৯ সালে প্রথম উপন্যাস “একলা আকাশ”প্রকাশ।আর প্রথম শিশুতোষ বই “শানারেই ও তার জাদুর লেইত্রেং”এর জন্য মীনা মিডিয়া এওয়ার্ড ২০১৯ লাভ। বাবা কবি এ.কে. শেরামের প্রচ্ছন্ন ছায়া আগলে কবিতার পথে,শব্দ প্রেমে হাঁটতে চায় আমৃত্যু।