ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ দুর্যোধন মিত্র। পাহাড়ের মুকুটহীন বাদশা। অগাধ অর্থ ও একচ্ছত্র ক্ষমতা দীর্ঘদিন ভোগ করতে-করতে হঠাৎ উপলব্ধি করলেন, তিনি কত অসহায়! তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী কৃষ্ণাই বলবে শেষ কথা, তিনি নন। প্রথমপক্ষের একমাত্র পুত্র সুন্দর বিদেশে। মহিলাঘটিত কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে ফিরতে চাইছে দেশে। ........ কৃষ্ণা তাতে রাজি নন। ...... তারপর? সুন্দর ফিরে এল। ........ এদিকে দুর্যোধনের দ্বিতীয় সন্তানের সম্ভাবনা দেখা দিল কৃষ্ণার শরীরে। .... তারপর? সুন্দর সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইছে। দুর্যোধনের হোটেলের সুন্দরী তরুণী লীলা তাকে চুম্বকের মতো টানছে। ....... সুন্দর ফিরছে গাড়ি চালিয়ে। পাহাড়ের বাঁকে এক টাটা সুমো এসে ধাক্কা মারল। ....... তারপর? .......... কে এই আততায়ী? কে চায় না সুন্দর ও লীলার নতুন সম্পর্ক? প্রেম ও প্রতিহিংসার গভীর রহস্যময় থ্রিলার লীলাসুন্দর।
সমরেশ মজুমদার
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের জন্ম ১০ মার্চ ১৯৪৪।
তাঁর শৈশব এবং কৈশাের কেটেছে জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের চা বাগানে। লেখাপড়ায় মন বসতাে না একদমই। ইচ্ছে ছিল নায়ক হবেন। তাই জলপাইগুড়ির বন্ধুদের নিয়ে সাজাতেন নাটকের দল। বাজারের জন্য দিদিমার দেয়া টাকা বাঁচিয়ে তাও খরচ করতেন বন্ধুদের নিয়ে। ষােলাে বছরের এক তরুণ সমরেশ কলকাতায় আসেন ১৯৬০ সালে। ভর্তি হন স্কটিশ চার্চ কলেজে, বাংলায়। এখানেও শুরু হলাে থিয়েটার আর নাটক লেখা, গল্প লেখার কাজ। নাটক লিখলেও নাটক হতাে না। অভিনয়ও জমছে না ঠিকমতাে। ততদিনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাসের সার্টিফিকেট জুটলাে কপালে। কিন্তু নায়ক হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলাে না। এবার নাটক বাদ। গল্প লেখায় সময় ব্যয়। ১৯৭৬ সালে দেশ পত্রিকায় ছাপা হলাে তাঁর প্রথম উপন্যাস দৌড়। তারপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। প্রকাশিত গ্রন্থ ২১৫।
সমরেশ মজুমদার ১৯৮২ সালে পান ‘আনন্দ পুরস্কার'। কালবেলা উপন্যাসের জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান ১৯৮৪ সালে।