লাইফ অব পাই (আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত)
কানাডিয়ান লেখক ইয়ান মার্টেল এর লেখা লাইফ অব পাই (Life of Pi) আলকেমিস্ট ক্যাটাগরির জনপ্রিয় উপন্যাস। এটি ২০০২ সালে বুকার পুরষ্কার লাভ করে। বইয়ের গল্প পাইসাইন মলিটর প্যাটেল বা পাই নামে এক কিশোরকে নিয়ে। পাইয়ের বাবা একটি চিড়িয়াখানার মালিক ছিলেন। ভারতের এক রাজ্যে বড় হওয়া পাইয়ের পরিবারে এক সময় খারাপ অবস্থা নেমে আসে। যার ফলে দেখা যায় পাইয়ের বাবাকে ব্যবসা ঘুটিয়ে কানাডা যাওয়ার চিন্তা করতে ও যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে। সিদ্ধান্ত অনুসারে কানাডা কিংবা আমেরিকাগামী কিছু জন্তু নিয়ে পাইয়ের পরিবার জাপানি এক জাহাজে করে যাত্রা শুরু করে। এক রাতে পাইয়ের পরিবারের সবাই যখন ঘুমে আচ্ছন্ন তখন এক বিস্ফোরণে জাহাজ ডুবি ঘটে। নাবিকেরা পাইকে একটি লাইফবোটে বেধে পানিতে ফেলে দেয় এবং পরে পাই অক্ষতভাবে লাইফবোটে উঠে। পাইয়ের সাথে সাথে লাফিয়ে পরেছিল এক জেব্রা। যে কিনা লাফ দিতে গিয়ে পা ভেঙ্গে ফেলে। পরবর্তীতে এক বাঘ যার নাম রিচার্ড লাইফবোটে উঠলে ভয়ে পাই লাইফবোটের বৈঠা আর এর সাথে বাঁধা ছোট নৌকার সহায়তায় ভেসে থাকে। পরের দিন সকালে পাই লাইফবোটে হায়না ও ওড়াং ওটাং দেখতে পায়। কিন্তু রিচার্ডকে দেথছিল না।পরবর্তীতে হায়না দ্বারা পানিতে জেব্রা ও লাইফবোটে ওরাং ওটাং এর মৃত্যু হলে পাটাতনের নিচ থেকে রিচার্ড কে বেরিয়ে আসতে দেখে পাই। এরপর রিচার্ড ঝিমি অবস্হা থেকে স্বাভাকি অবস্হায় ফিরে আসে ও থাবা বসিয়ে হায়েনাটিকে হত্যা করে। একপর্যায়ে রিচার্ড পাইয়ের দিকে আসতে চাইলে নৌকা থেকে দূরে থাকার জন্য আবার বৈঠা নিয়ে ছোট নৌকায় ভোসে থাকে। পাই বাঘ কে বশ করার জন্য সমুদ্র থেকে মাছ ধরে খাওয়াতে থাকে। এক পর্যায়ে বাঘের সাথে চোখাচুখি হলে বাঘ লাইফবোটের সাথে বেধে থাকা ছোট নৌকায় চলে যায়। এরপর পাই বেশিক্ষণ সময় লাইফবোটেই কাটাত। এইভাবে শূন্য সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে তারা এক সময় এক দ্বীপে পৌঁছে। সেই দ্বীপের গাছ গুলো মানুষখেকো হওয়ার পাই ও রিচার্ড আবার ভেসে পরে। শেষে লাইফবোটে করে তারা মেক্সিকো তীরে পৌঁছে। তখন পাই ও রিচার্ডের বিচ্ছেদ হয়। রিচার্ড এক লাফে তীরে নামে এবং হেঁটে হেঁটে জঙ্গলে চলে যায়। গল্পের শেষে দেখা যায় অসুস্থ পাইকে এক জাপানি জাহাজ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। লাইফবোটে করে বাঘের সাথে বেঁচে ফিরে আসার গল্প তখন কেউই বিশ্বাস করছিল না। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯