ধরুন মাঝ রাতে আপনি আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। হঠাৎ যদি কোনো আলোকিত বন্তু
আপনার চোখে পড়ে, যেটি একবার সোজা মাটিতে নামছে কিংবা পাশের পুকুরে ডুবে যাচ্ছে
আবার উপরে উঠে যাচ্ছে! তাহলে আপনি কী মনে করবেন আপনি হয়ত ভাববেন, হবে হয়ত
কিছু। এত ভেবে লাভ কী? কিংবা জিন-ভূত ভেবে একটু ভয় পেয়ে পরের দিন মনের আনন্দে
সব ভুলে যাবেন। কিন্ত্র আপনার মনে এর পিছনের প্রযুক্তি নিয়ে প্রশ্ন জাগবে না, যা পৃথিবী নামক
গ্রহে আবিহৃত হয়েছে। পৃথিবীর আৰেক প্রান্তের মানুষরা কিন্তু এইসব নিয়ে প্রশ্ন করছে, চিন্তা
করছে। যে কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নিয়েই তারা প্রশ্ন করে। যার কারণে তারা বিভিন্ন নতুন
জিনিস আবিস্কার করছে শিক্ষা ও সভ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে।
আর আমরা বিয়ের অনুষ্ঠানে খেতে গেলে বকশিস দিচ্ছি, জিপিএ ফাইভ পেয়ে মেধাবী হয়ে যাচ্ছি
গতানুগনুতিক বিষয় নিয়েই আমরা ব্যস্ত। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আধুনিক বিশ্ব থেকে আমরা পিছিয়ে
রয়েছি। এই বইটিতে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক মনে করা এমন অনেক বিষয় তুলে
ধরা হয়েছে, যে গুলো আদৌ স্বাভাবিক নয়। যেগুলো নিয়ে আমাদের প্রশ্ন করা উচিত।
আমিনুল ইসলাম
আমিনুল ইসলাম (1943) কুমিল্লা শহর সংলগ্ন জামবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 1958 খ্রিস্টাব্দে প্রবেশিকা এবং 1960 খ্রিস্টাব্দে আই.এ. পাশ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ভর্তি হন এবং 1963 খ্রিস্টাব্দে বি. এ. অনার্স ও 1964 খ্রিস্টাব্দে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। 1973 খ্রিস্টাব্দে তিনি ব্রিটেনের সেন্ট অ্যান্ড্র ুজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি. করেন। প্রফেসর ইসলাম 1965 খ্রিস্টাব্দের 1 মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। বিগত চার দশক ধরে অধ্যাপনাকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান, উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক, সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট, গোবিন্দ দেব দর্শন গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক এবং কলা অনুষদের ডীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ দর্শন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ দর্শন সমিতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি। বিভিন্ন বিষয়ে গ্রন্থ ও প্রবন্ধ রচনার জন্য একজন লেখক হিসেবেও তিনি সুপরিচিত। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো প্রাচীন ও মধ্যযুগের পাশ্চাত্য দর্শন, আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শন, সমকালীন পাশ্চাত্য দর্শন, মুসলিম ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন, ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম দর্শন, বাঙালির দর্শন, নীতিবিজ্ঞান ও মানবজীবন।