আজকালকার সমাজে যে ভালো মানুষের বিশেষ কোনো মূল্য নেই, এই কথাটি মোটামুটি সর্বজনবিদিত। একজন ভালো মানুষকে যে কোনো ক্ষেত্রেই হোক তাকে পিছিয়ে পড়তে হয়, কেবল যেন শুধুই ভালো মানুষ হওয়ার অপরাধে। অন্যের কাছে ঠকতে হয় বারবার, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ভুগতে হয় অশান্তিতে, ব্যর্থতাকে বরণ করে নিয়ে ধুঁকতে হয় হতাশায়।
কেননা সত্যের দশা করুণ, মিথ্যা দাপুটে। সচেতনতার জ্ঞান ডিঙিয়ে অজ্ঞানতা ও অসচেতনতা যদি ঘাড়ে উঠে বসার সুযোগ পায়, তবে তা হজমের অভ্যাসও মানুষকে রপ্ত করে নিতে হয়। তবে এভাবে আর কতদিন?
একটি সমাজে প্রত্যেকেই মানুষ হয়ে বেড়ে উঠেনা। দেখতে মানুষ মনে হলেও আদতে অনেক অমানুষদের বাস রয়েছে আমাদের সমাজে। তবে সেই সংখ্যাটা অবশ্যই কম।
“মশারির ভেতরে থাকা একটি মশাই যখন রাতের ঘুমের দফারফা করে দিতে পারে সেখানে এমন গুটি কয়েকজন অমানুষই একটি সমাজকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।”
এই পীড়াদায়ক কঠিন সত্য কথাটি নিঃসন্দেহে সর্বমহলেই প্রমাণিত।
“সালাম সাহেব বড্ড সরল, সংসার নিয়ে ভাবেন না।
ক্ষনে ক্ষনেই পেশা বদল প্রতিভার কদর পান না।
চেষ্টা নিয়ে কমতি নেই, পরিশ্রমেও ঘাটতি নেই,
তাই বলে সে থেমে যাবেন, স্বপ্নেও তা ভাবতে নেই।”
জুনায়েদ কবির শিহাব
জুনায়েদ কবির শিহাব:- বিশ্বাস করেন সারাদিন মিটিং, মিছিল, টকশো, আলোচনা করে যা না হয়, তা
একটি বই দিয়ে হয়। একটি বই মানুষকে ভেতর থেকে পরিশুদ্ধ করে। সেই শুদ্ধতার জন্য লেখকরা যে
লড়াই শুরু করেছেন, সেখানে পাঠকদের সমভাবে অংশগ্রহণ ব্যতিত তা কেবলই যেন ছিপ হাতে ঘোলা
জলে মাছ ধরার মতো। তিনি বিশ্বাস করেন জাত, ধর্ম, জাতি, বর্ণের উর্দে মানুষ। সমাজের তথাকথিত
ভেদাভেদগুলো তাকে ভাবিয়ে তুলে। শ্রৈণি-বৈশম্যের বেড়াজাল থেকে নিজে সবসময়েই মুক্ত থাকতে
পছন্দ করেন। সেইসাথে অন্তত কিছু মানুষের মাঝে তার ভাবনাগুলো ছড়িয়ে দিতেই হাতে তুলে নিয়েছেন
কলম। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় নিজে হয়ে উঠেন একজন উদ্যোক্তা। প্রতিষ্ঠা করেন নলেজ
আইকন এবং এক্সপোর্ট বিডির মতো প্রতিষ্ঠান। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষে বর্তমানে তিনি নিজ
প্রতিষ্ঠানগুলোর দেখাশুনা করছেন। তার জন্ম ১৯৯৬ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী। তিনি ময়মনসিংহ
জেলার, গফরগাঁও থানার, তেরশ্রী নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুল জীবন থেকেই তার লেখালেখিতে
হাতে-খড়ি হয়। বিভিন্ন পত্রিকা এবং ম্যাগাজিনগুলোতে তিনি নিয়মিতই লিখে গিয়েছেন। সমকালীন
বাস্তবতাগুলো তার লেখায় দারুণভাবে ফুটে উঠে। “ছদ্মবেশী গুণিজন” নামক সমকালীন গল্প দিয়ে তার
লেখক জীবনের পথচলা শুরু হয়। বইটি পাঠকমহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়। বইটি নিয়ে দেশের বরেণ্য
ব্যক্তি-বর্গরাও করেছেন লেখকের ভূয়সী প্রশংসা। জীবন তাকে যন্ত্র বানিয়েছে ঠিকই তবে তার জীবনে
ঘটে যাওয়া নানা ঘাত-প্রতিঘাতগুলো তাকে করেছে বেশ পরিণত। তিনি শুদ্ধতার জন্য লেখেন। তিনি
পরিবর্তনের জন্য লেখেন। আজন্মকাল মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে থাকায়, তার জীবনের একমাত্র ব্রত।