এটি গ্রামের এক সরল কিশোরী সওদা বেগমের জীবনের আখ্যান। শুধুমাত্র গায়ের রঙ কালো হওয়ার কারণে বিয়ের পর তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন মোখলেস আহমেদ। প্রত্যাখ্যাত হবার অপমানে কুকড়ে গেলেও সওদা বেগম নুয়ে পড়েননি। উল্টো ক্ষোভ আর যন্ত্রণা চাপা দিয়ে নিজেকে বদলে ফেলেন। গ্রামের সবাই তাকে লালবউ বলে ডাকত।
কিন্তু যে মানুষটার কাছে সওদা বেগম লালবউ হতে চেয়েছিলেন সেই মোখলেস আহমেদ কোনদিনই তাকে মন থেকে ভালোবাসেনি।
তাই অনাদর অবহেলায় সওদা বেগম চোখের পানি আড়াল করে কাটিয়ে দিলেন ভালোবাসাহীন জীবনের ত্রিশটি বছর। দিনে দিনে কর্তৃত্ব, শাসন আর এক তরফা খামখেয়ালিপনায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন রাগী আর দাম্ভিক এক মানুষে। একটা সময় বড় ছেলে রিহানকে বিয়ে করিয়ে বউ আনেন ঘরে। ছেলে বউ অরনী শহুরে শিক্ষিত মেয়ে। তাই শুরুতেই তাদের দুজনার সম্পর্কে তৈরী হয় টানাপোড়ন। এরপর দূরত্ব বাড়ে। গড়ে উঠে দ্বিধার এক দেয়াল। সওদা বেগম জেদ করেই একতরফা নিজের সবকিছু চাপিয়ে দেন অরনীর উপর। এরপর শুরু আরেক অধ্যায়ের। ধীরে ধীরে তাদের এই সম্পর্ক মোড় নেয় অদ্ভুত এক পথে। মোখলেস আহমেদ, সওদা বেগম, বড় ছেলে রিহান, ছোট ছেলে তালহা আর অরনীকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যায় উপন্যাসের এক একটি অধ্যায়।