লালনের গানের বহু গ্রন্থ বাজারে পাওয়া যায়। শক্তিনাথ ঝা লালনের আখড়ার ভোলাই শাহ ফকিরের খাতা, বহু সাধক-গায়কের খাতা ও কণ্ঠ থেকে গান নিয়ে প্রামাণ্য মুদ্রণ এবং সাধক গায়কদের দিয়ে সেগুলো যাচাই করে নিয়েছেন। সাধকদের সাহায্যে পদের পর্যায় চিহ্নিত করে দিয়েছেন পদগুলির অর্থসংকেত। এ রীতি অন্য কোনো সংগ্রাহকের নেই। লালনের জাল গান নিয়ে তাঁর বিচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রামেশ্বর মিশ্র লালনের হিন্দি অনুবাদে এবং ক্যারল সলমন ইংরেজি অনুবাদে শক্তিনাথ ঝা-র লালন পদাবলিকে মান্যতা দিয়েছেন। সঠিক পাঠ নির্ণয়ে, ব্যাখ্যায়, পাদটীকায় মহাকবি লালনের প্রামাণ্য গানের সংগ্রহ হিসাবে লালন সাঁইয়ের গান বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শক্তিনাথ ঝা
শক্তিনাথ ঝা’র জন্ম ১৯৪১ সালে, ভারতের জলপাইগুড়িতে। মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণনাথ কলেজে অধ্যাপনা করেছেন দীর্ঘকাল। বাউল-ফকিরদের নিয়ে, লালনকে নিয়ে, বাউল-ফকিরদের উপর অত্যাচার নিয়ে নানা গ্রন্থ রচনা করেছেন। লােকনাট্য, বিয়ের গান, শ্রমসঙ্গীত, মাদক নিয়েও লিখেছেন। লিখেছেন অন্য এক রাধা। করেছেন বাউল গানের বৃহৎ সংকলন। মুখ্যত, বাউল চর্যার অন্তরঙ্গ স্বরূপ পরিচয় একমাত্র তার রচনায় উদঘাটিত হয়েছে। বঙ্গের সাধক বাউলদের তিনি অন্তরঙ্গজন। বাউল-ফকির সঙ্রে সভাপতি। কথায় ও কর্মে তিনি লােকশিল্পীদের আত্মীয়ও বটে।