এই যে জীবনযাপন, সেই জীবনের পারিপার্শ্বিকতা, পারিপার্শ্বিকতার অনেক ভেতরের, অনেক গহনের বিপুল উচ্চারণ-অযোগ্য ক্ষোভ-ক্রোধ, দুনিয়াটাই বদলে ফেলার বিস্ফোরক ভাবনা আর অপ্রতিহত প্রেমময় উচ্ছ্বাস কবিতাভাবনার কেন্দ্রে কেবলই ঘুরে-ঘুরে কথা কয়। এইসব বিচিত্র, অদৃশ্য সব লহরি ঘিরেই একটি মানুষ প্রবেশ করে কবিতার অত্যুজ্জ্বল, কুহকী কমলবনে। ভাবনা ও ভাবুকতার এই দীপমালা ক্রমে ব্যক্তিকে পৌঁছে দেয় মানবসভ্যতার বিশাল সদনে। মানুষের সৃষ্টিশীল সত্তার গহনে, প্রকৃত ও পরম প্রত্ন অরণ্যে। এভাবেই একটি সচেতন সত্তা মহাবিশ্বের সৃষ্টিবৈচিত্র্যেও নমিত হয়ে পড়ে অজান্তে। ফলে একটা সাধু সদ্ভাব তাকে ঘিরে রাখে সর্বক্ষণ। এই ভাবনা তাকে নিঃস্ব করে দিতে পারে জীবনের কুহেলি মন্দিরে। আবার এই ভাবনাই তাকে রাজন্যের শিরোপা পরিয়ে দিতে পারে। এই শিরোপাই নজরুলের ভাষায় ‘আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ’ ...।