ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ মোশতাক আহমেদের দুর্দান্ত কলামে অনবদ্য এক বিজ্ঞান কল্পকাহিনী। স্কাউটশিপ দ্রুত ছুটে চলছে নিউরিনো স্পেসশিপকে উদ্দেশ্য করে। জুনি দাঁড়িয়ে আছে স্কাউটশিপের জানালার পাশে। একমনে সে দেখছে লাল গ্রহকে। গ্রহটির রঙ কেন লাল তা একসময় তার জানা ছিল না। এখন সে জানে। লাল রঙের মূল উৎস রিডিনের রহস্যময় আলো। লাল গ্রহে রিডিন যখন নিজের শরীর থেকে আরোর বিচ্ছুরণ ঘটায় তখন গ্রহটির যে অংশে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে সেই অংশটা লাল দেখায়। যখন সমগ্র গ্রহে রিডিনের আলো বিচ্ছুরিত হয় তখন সম্পূর্ণ গ্রহটি লাল হয়ে যায়। লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি হওয়ায় গ্রহের গাছপালার সবুজ রঙ কিংবা পানির বর্ণহীন রঙ লাল রঙের আড়ালে ঢাকা পড়া যায়। এজন্য গ্রহটির রঙ বা তার অংশবিশেষ সবসময় লাল থাকে এবং গ্রহটির নাম হয়েছে লাল গ্রহ যা একেবারে যথার্থ।
মোশতাক আহমেদ
জন্ম ৩০ ডিসেম্বর ১৯৭৫, জেলা ফরিদপুর। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি ডিপার্টমেন্ট থেকে এম ফার্ম ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ এবং ইংল্যান্ডের লেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে ক্রিমিনােলােজিতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনে তিনি একজন চাকরিজীবী। BOIB তাঁর উল্লেখযােগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে,
সায়েন্স ফিকশন : রােবটিজম, ক্লিটি ভাইরাস, নিহির ভালােবাসা, লাল শৈবাল, গিপিলিয়া, বায়ােবােট নিওক্স, পাইথিন, লাল গ্রহের লাল প্রাণী, দ্বিতীয় পৃথিবী, ক্রিকি, ক্রি, লিলিপুটের গ্রহে, পৃথিবীতে লিলিপুটেরা, লিলিপুটদের ফিরে যাওয়া, রােববা, নিকি, অণুমানব, সবুজমানব, লালমানব, রােবটের পৃথিবী, প্রজেক্ট ইক্টোপাস, গিগাে, রিরি। সায়েন্স ফিকশন সিরিজ : রিবিট, কালােমানুষ, রিবিট এবং ওরা, রিবিটের দুঃখ, শান্তিতে রিবিট। ভৌতিক : অতৃপ্ত আত্মা, প্রেতাত্মা, আত্মা, রক্ততৃষ্ণা, অভিশপ্ত আত্মা, রক্ত পিপাসা, উলু পিশাচের আত্মা। গােয়েন্দা এবং কিশাের অ্যাডভেঞ্চার : ডাইনােসরের ডিম, লাল গ্যাং, নীল মৃত্যু, ববির ভ্রমণ, জমিদারের গুপ্তধন। প্যারাসাইকোলজি : মায়াবী জোছনার বসন্তে, জোছনা রাতের জোনাকি, মন ভাঙা পরী। ভ্রমণ উপন্যাস: বসন্ত বর্ষার দিগন্ত স্মৃতিকথা : এক ঝলক কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধ : নক্ষত্রের রাজারবাগ, মুক্তিযােদ্ধা রতন। ‘জকি তার জীবনধর্মী বহুলপ্রশংসিত উপন্যাস। পুরস্কার : নক্ষত্রের রাজারবাগ গ্রন্থের জন্য এইচএসবিসি কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার ২০১২।