অ্যালিসের ফর্সা হাত বেয়ে এক ফোঁটা রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। দেখাচ্ছে ঠিক যেন সাদা হাতার একটা জামায় লাল পাড়। অ্যালিস প্রথমে মনে করল সুড়সুড়িটা কোনো মাছি দিচ্ছে বুঝি, কাজেই গা করেনি। প্রত্নতাত্ত্বিক হতে গেলে সামান্য মাছির জ্বালায় অস্থির হলে চলে না। আর কোনো কারণে নিচের প্রধান খননক্ষেত্রের চাইতে অ্যালিস পাহাড়ের গায়ের যে জায়গাটায় কাজ করছে সেখানে পোকামাকড়ের উপদ্রব অনেক বেশি। তারপরেই টুপ করে একফোঁটা রক্ত পড়ল ওর খালি পা-টার ওপরে, ছড়িয়ে গেল গাই ফক্স উৎসবে রাতের আকাশে ফোটা কোনো আতশবাজির মতো।
এবার ওর চোখে পড়ল ব্যাপারটা। বাহুর ক্ষত থেকে আবার রক্ত বেরোচ্ছে তাহলে। ক্ষতটা গভীর, সারতেই চাইছে না। ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ক্ষতের ব্যান্ডেজ আর প্লাস্টার আরো শক্তভাবে চামড়ার ওপর চাপানোর চেষ্টা করল ও। যেহেতু আশপাশে দেখবার মত কেউ নেই, কাজেই রক্তের দাগটা হাত থেকে চেটে খেয়ে ফেলল নির্দ্বিধায়।