ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ উপন্যাসের নায়কের বাসায় মেয়েটি এসেছিল এক বৃষ্টিভেজা রাতে। তার মেঘকালো চুলে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো পদ্মপতায় জমে থাকা শিশির বিন্দুর মতো দ্যুতি ছড়া্চ্ছিল। নাম তার কৃষ্ণকলি।কৃষ্ণকলি কালো।লম্বায় পাঁচ ফিট সাড়ে তিন ইঞ্চি ১ সে. মি। মাথায় ঘন কালো চুল। দেহের গড়ন হালকাপাতলা। শেপতা একদম আফ্রোদিতির মতো।চোখ ঠিক যেন জোড়া পদ্মফুল।বিধাতা বহু বছর চেষ্টার পর ছেঁচে, নানা কসরত করে এমন ফিনিশিং দিয়েছেন যে, সব মিলে সে একটা জীবন্ত মিউরাল।নায়কের বন্ধু সেন্টুর নজরে পড়ে যায় কৃষ্ণকলি, তাকে নিয়ে সেন্টু উপন্যাস লেখে। দুই বন্ধু সেন্টু আর নায়ক হাসানের মধ্যে চলে সম্পর্কের টানাপোড়েন। মানসিক ভারসাম্যহীন কৃষ্ণকলিকে গাঁটের পয়সায় চিকিৎসা করিয়ে হাসান সারিয়ে তোলে মেয়েটিকে। কিন্তু কৃষ্ণকলি হাসানকে নিয়ে খেলে যায় বিচিত্র খেলা। হাসান কৃষ্ণকলির পুরো বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জরূপে গ্রহণ করে এবং ডাক্তারি পরিভাষার সব মেকানিজমকে পেছনে ফেলে সারিয়ে তোলে কৃষ্ণকলিকে। আর সেটা করতে গিয়ে সে পদে পদে অভিনব সব বিপদ ও মানসিক সঙ্কটের শিকার হয়। তারপর?